সর্বশেষঃ
বনানীতে ৩ রেস্তোঁরাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, ভুয়া ঠিকানায় ট্রেড লাইসেন্স উন্নয়নকাজে সমন্বয়হীনতায় সরকারি অর্থের অপচয় গৃহায়নের প্রকৌশলী আলম ঘুষের দেড় লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার বছিলায় সরকারি খালে নির্মাণাধীন  ৬টি বড় স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র ডিএসসিসির ১ ইঞ্চি জমিও আর কেউ অবৈধভাবে দখলে রাখতে পারবে না মেয়র তাপস  RAJUK Employee Management System (REMS)-বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ডেঙ্গু মোকাবিলা করা বড় চ্যালেঞ্জ : মেয়র আতিকুল ইসলাম শেখ হাসিনাকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ও জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন শিশু আয়ানের মৃত্যু, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রিপোর্ট হাস্যকর : হাইকোর্ট ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:২৪ অপরাহ্ন

ঈদুল আযহায় করোনা সতর্কতা

ডাঃ মোঃ তৌহিদ হোসাইন :
মহামারী করোনা এখন সারা বিশ্বের ত্রাস। গত শতাব্দীর ১৯১৮-১৯ সালের পর ২০২১ সালে এসে ধরিত্রীবাসী এক মহাদূর্যোগের কবলে। আমাদের এ প্রিয় মাতৃভূমি এবং নীরিহ জনগণ এক মহাক্লান্তিকালে। এ রকম একটা দূর্যোগ মূহুর্তে দ্বারে সমাগত ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর ঈদুল আজহা। যে যার মত প্রস্তুতি নিচ্ছি কোরবানীর। তার পাশাপাশি জারি রাখতে হবে করোনা মহামারীর ছোবল থেকে বাচার চেস্টা।

নিজের তথা আপনজনের শ্বাস-প্রশ্বাসও এখন যেন নিজেরই শত্রু। কারণ বিজ্ঞানীরা বলছেন করোনা মহামারীর সংক্রমণ ঘটে শ্বাস-প্রশ্বাস আর হাচি-কাশির মাধ্যমে।

দৈনন্দিন জীবনে আপনি যে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নেন, আস্তে কিংবা জোরে কথা বলেন, রাগে, হাসি-ঠাট্রায়, বক্তৃতায়, কিংবা মনের সুখে গান গেয়ে ও হাচি-কাশি দিয়ে-ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় নাক-মুখ থেকে পানি-মিউকাস মেমব্রেন রস নিসৃত যে বাতাস বের করেন তাকে বিজ্ঞানীরা বলছেন ‘রেস্পিরেটরি পারটিকেল’।

করোনা ভাইরাসের কোন হাত-পা নাই। আছে বাহন।
এই রেস্পিরেটরি পার্টিকেলই এদের বাহন যার মাধ্যমে আপনার- আমার মধ্যে প্রতিনিয়ত করোনার সংক্রমণ ঘটাচ্ছে।
যে রেস্পিরেটরি পার্টিকেলের কথা বললাম, তা সাধারণতঃ ১-২০০০ মাইক্রোমিটার সাইজের হয়ে থাকে।
এক মাইক্রোমিটার= এক সেন্টিমিটারের দশ হাজার ভাগের এক ভাগ মাত্র।

     ‘রেস্পিরেটরি পারটিকেল’ দুই রকমঃ

একটি হলো, রেস্পিরেটরি আরোসল বা ড্রপলেট নিউক্লিয়াই এদের সাইজঃ ১-৫ মিক্রোমিটার।শীতকালে কথা বলার সময় বিশেষ করে রোদ্রালোকে খালি চোখেই আমরা অনায়াসে দেখতে পারি।অন্যটি হলো, ‘রেস্পিরেটরি ড্রপলেট’।সাইজ খানিকটা বড়ঃ ৫-২,০০০ মাইক্রোমিটার। খালি চোখেই হাচি, কাশি, বক্তৃতা, গান ও জোরে কথা বলার সময়ে এই ‘রেস্পিরেটরি ড্রপলেট’ আমরা অনায়াসে দেখতে পারি।

উপরোক্ত প্রক্রিয়ায় তৈরী ‘রেস্পিরেটরি ড্রপলেট’গুলো বাতাসের সংস্পর্শে আসার পর তিন ভাগ হয়ে যায়।
একটা অংশ ‘রেস্পিরেটরি ড্রপলেট’ আকারেই অনেকটা স্থীর বাতাসে.৩ সেকেন্ডের মধ্যে ৬ ফুট দুরত্বের মধ্যে মাটিতে পড়ে।
আরেকটি অংশের ‘রেস্পিরেটরি ড্রপলেট’ ভেংগে ‘রেস্পিরেটরি এরোসল’বা ‘ড্রপলেট নিউক্লিয়াই’ তে রূপ নেয়, বাতাসে প্রবাহ ভাল থাকলে অনেক দূর পর্যন্ত যায় এবং ডাইলিউট হয়ে সংক্রমণ সক্ষমতা কমে যায়। কিন্তু বদ্ধ ঘর বা পরিবেশে স্থীর বাতাসে করোনা ভাইরাস ২-৩ ঘন্টা ভেসে বেড়াতে পারে এবং সংক্রমণ সক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়।

শেষ অংশটির ‘রেস্পিরেটরি ড্রপলেট’ নিজের জামা কাপড়,চেয়ার টেবিলে পড়ে ‘ফোমাইট’ হিসেবে থেকে যায় এবং পরে অন্যদেরকে সহজেই করোনার শিকারে পরিনত করে।এখানে বিজ্ঞানীরা বলছেন, আমরা ৯৯% ক্ষেত্রে সংক্রমিত হই ‘রেস্পিরেটরি ড্রপলেট’ ও ফোমাইটে স্পর্শ করা ইনফেকটেড হাত দিয়ে নাক মুখ ও চোখে স্পর্শ করার মাধ্যমে।
মাত্র ১% ক্ষেত্রে সংক্রমণ ঘটে ‘রেস্পিরেটরি এরোসল’এর মাধ্যমে যাকে বলে এয়ারবর্ণ (Airborne)সংক্রমণ।

এখন এই করোনা ভাইরাসের দ্বারা আপনার সংক্রমণ হবে কি হবে না তা নির্ভর করে
১) ভাইরাসটির সংক্রমণ ক্ষমতা (infectivity) ও এর রোগগ্রস্থ (Pathogenicity) করার ক্ষমতার উপর
২) আপনার রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা, বয়স ও কো-মরবিডিটির উপর।
৩) ভাইরাসের ইনফেক্সাস ডোজের উপর
৪) আপনি কতক্ষণ, কোন পরিবেশে ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে ছিলেন তার উপর।
৫)ভাইরাসের উৎস ও আপনার সাথে দূরত্বের উপর।

‘রেস্পিরেটরি ড্রপলেট’ বা ‘এরোসল’ কত বেগে মানুষের নাক-মুখ থেকে বের হয় এবং আপনি তার থেকে কত দূরে কতক্ষণ থাকলে ইনফেকটেড হবেন তার হিসাবও বিজ্ঞানীদের করা আছে।
সাধারণ অবস্থায়, ১০০০ মাইক্রোমিটার সাইজের একটি রেস্পিরেটরি ড্রপলেট .৩ সেকেন্ডের মধ্যে, ১০০ মাইক্রোমিটার সাইজের ৩ সেকেন্ডের মধ্যে এবং ১০ মাইক্রোমিটার সাইজের ৫ মিনিটের মধ্যে ১ মিটার দূরে গিয়ে মাটিতে পড়ে।
এক মাইক্রোমিটার সাইজের ‘রেস্পিরেটরি এরোসল’ বা ‘ড্রপলেট নিউক্লিয়াই’ ৫০-৩০০ মিনিটের মধ্যে ১ মিটার কিংবা আরো দূরে গিয়ে মাটিতে পড়ে।

বিজ্ঞানীরা আরো স্পষ্ট করে বলছেন অনেকটা স্থীর বাতাসে নরমাল শ্বাস-প্রশ্বাসে বাতাস বের হওয়ার গতিবেগ থাকে ১মিটার/ সেকেন্ড। কথাবার্তা বলার সময়ে ৫মিটার/ সেকেন্ড, জোরে কাশিতে ১০ মিটার/ সেকেন্ড বা 50-100 মাইল/ঘন্টা এবং জোরে হাচিতে ২০-৫০মিটার/ সেকেন্ড বা ২০০ মাইল/ঘন্টা।

নরমাল শ্বাস-প্রশ্বাসে একজন মানুষ ৫০-১০০টি ‘রেস্পিরেটরি পারটিকেল’ বের করে এবং ইনফেকটেড ব্যক্তি প্রতি শ্বাস-প্রশ্বাসে ২০-৩০টি ভাইরাস বের করে। কথা-বার্তা বলার সময় নরমাল শ্বাস-প্রশ্বাসের চেয়ে ১০ গুন বেশী ‘রেস্পিরেটরি পারটিকেল’ বের হয়।
বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, ৫০-১০০০ করোনা ভাইরাস ঢুকলেই ইনফেকশন হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ।
গবেষণায় দেখ গেছে, একটা জোরে হাচি-কাশিতে ৩০,০০০-৪০,০০০ পর্যন্ত রেস্পিরেটরি ড্রপলেট থাকতে পারে। যারা সুপার স্প্রেডার মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত তাদের বড় একটা হাচিতে ২০ কোটি ভাইরাস বের হয়ে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।

গেল মার্চ, ২০২১ তে এমেরিকার এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, ইনফেকটেড হওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হচ্ছে ন্যাসোফ্যারিক্স যেখানে ২.৫-১৯ মাইক্রোমিটার সাইজের রেস্পিরেটরি ড্রপলেট আটকা পড়ে। এই ন্যাসোফ্যারিনক্স থাকে নাকের পিছনে, ভোকাল কর্ডের উপরে। তাদের গবেষণায় থ্রেসোল্ড ইনফেক্সাস ডোজ হলঃ ৩০০ ভাইরাস পারটিকেল। অথচ ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ এর ইনফেকক্সাস ডোজ হলঃ ১৯৫০-৩০০০ টি ভাইরাস।

বিজ্ঞানীদের ভাষ্যঃ একজন মাইল্ড উপসর্গযুক্ত বা উপসর্গহীন রোগী বদ্ধ ঘরে মাস্ক বিহীন ১০ মিনিট তিন ফুট কম দূরত্বের মধ্যে কথা বলাবলি করলে উপস্থিত সুস্থ্য ব্যক্তি ইনফেকটেড হয়ে যেতে পারে। কারণ অসুস্থ্য রোগী থেকে কথা বলার সময় ২০০ ভাইরাস এবং ৫০-৫০০ রেস্পিরেটরি ড্রপলেট প্রতি মিনিটে বের হতে পারে।

বদ্ধ ঘরে অবস্থানকরী করোনা ভাইরাসের রোগীর পূর্বের হাচি থেকে একজন সুস্থ্য ব্যক্তি স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাসেও ২-৩ মিনিটের মধ্য ১০০০ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
আর যদি করোনাক্রান্ত ব্যক্তি হাচি না দিয়ে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসও ফেলে, তাহলেও বদ্ধ ঘরে অবস্থান কারী সুস্থ্য ব্যক্তি প্রতি মিনিটে ২০ টি ভাইরাল পারটিকেল তার শরীরে ঢুকাবে। ৫০ মিনিট ঐ ঘরে অবস্থান করলেই ১০০০ ভাইরাস পারটিকেল তার শ্বাসতন্ত্রে ঢুকবে। এসবই উচ্চমাত্রার গবেষণার ফসল।

   এসি যারা ব্যবহার করিঃ
ঘরে বা অফিসে করোনা রোগী থাকলে স্পিলিট এসি ব্যবহার বন্ধ করে দিন। কারণ এ ধরণের এসিতে ভিতরের বাতাস নিয়ে ঠান্ডা করে আবার ভিতরেই ছেড়ে দেয়। ফলে এক ঘরে ১০জন লোক বসবাস করলে এবং একজনেরও যদি করোনা থাকে তাহলে ঘরের সবারই আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি থাকে। অথবা একান্তই যদি এসি ছাড়া না চলে তাহলে অন্তত দুই তিনটি জানালা খোলা রাখুন।

আর যাদের ঘরে উইন্ডোজ এসি আছে তারা এসি চালালে সমস্যা নেই। কারণ উইন্ডোজ এসি তে বাহিরের বাতাস টেনে ঠান্ডা করে ভিতরে ঢুকানো হয়, ফলে ঘরের সুস্থ্যদের করোনাক্রান্ত হওয়ার ঝুকি নাই।
করোনা সংক্রমণ থেকে বাচার ক্ষেত্রে-সব সময়ই খোলা পরিবেশ, বদ্ধ পরিবেশের চেয়ে উত্তম। চলন্ত বাতাস, স্থীর বাতাসের চেয়ে উত্তম। শহরের চেয়ে গ্রাম এলাকা উত্তম। আবাসিক এলাকার চেয়ে নদী-সমুদ্র উত্তম। সুতরাং কথা বলি খোলামেলা পরিবেশে বাতাসের বিপরীত মুখী হয়ে বিনীতভাবে।

অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিক সংক্রমণ অর্থাৎ ঘরের বাহিরে উপসর্গহীন করোনা রোগী 40% ক্ষেত্রে নিজদের অজান্তেই সামাজিক সংক্রমণ ঘটিয়ে থাকে। করোনার সংক্রমণের জন্য অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা ও কম হিউমিডিটি আবহাওয়া অনুকুল, আর গরম ও হাই হিউমিডিটি আবহাওয়া প্রতিকুল।
আপনি হয়ত বন্ধুর সাথে কাছাকাছি বসে গল্প করছেন, আপনি জানেনই না যে আপনাদের যে কেউ অন্য একজনকে ইনফেকটেড করছেন।

    কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথাঃ
১। যত বেশী ভাইরাস জীবানু ঢুকবে, যত বয়স, যত দূর্বল রোগ প্রতিরোধী তত মারাত্মক সংক্রমণ।
২। গ্রীষ্ম কালে বায়ু প্রবাহ ও বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যতিক্রম ছাড়া সংক্রমণের ঝুকি কম। ব্যতিক্রম বলতে বুঝায়, ভাইরাস যদি এমন ভ্যারিয়েন্টে রূপ নেয় যে সর্বাবস্থায় প্রতিকুল পরিবেশেও টিকে থাকার যোগ্যতা অর্জন করে

৩। গ্রীষ্ম কালে ২০-৪০ বয়সীদের আক্রান্তের হার বেশী, শীত কালে বয়স্কদের আক্রান্তের হার বেশী।
৪। মাস্ক ড্রপলেট ইনফেকশন (৫-২০০০ মাইক্রোমিটার সাইজ) প্রতিরোধে কার্যকরি। কিন্তু রেস্পিরেটরি এরোসল বা ড্রপলেট নিউক্লিয়াই (১-৫ মাইক্রোমিটার সাইজ) প্রতিরোধে কম কার্যকরি নয়।

কারণ সার্জিক্যাল মাস্ক এর ছিদ্র ৩০০ nanometer আর করোনা ভাইরাসের সাইজ ৩০-১২০ নয়ানোমিটার। ফলে রেস্পিরেটরি নিইউক্লিয়াই এর সাইজ যদি ৩০০ ন্যানোমিটারের চাইতে বড় হয় তবে তা মাস্কে আটকা পড়বে।
তবে N95 mask বা ডাবল সার্জিকাল মাস্ক ৯৫% কার্যকরি। এটাও জেনে রাখা জরুরী যে, সার্জিকাল মাস্ক অন্যকে রেস্পিরেটরি ড্রপলেট থেকে বাচায়, কিন্তু নিজে খুব একটা সুরক্ষা পায়না। এমতাবস্থায় N95 মাস্ক বেশী কার্যকর যা নিজকে অন্যদের থেকে ড্রপলেট নিইউক্লিয়াই থেকেও সুরক্ষা দিবে।

৫। বদ্ধ ঘর, বদ্ধ করিডোড়, এক রুমে গাদাগাদি বসবাস, ফ্যান ছাড়া গরমে হাসফাস, স্পিলিট এসি রুম, বদ্ধ পরিবেশ, স্থীর বাতাস, লোকসমাগম, বাজার, মিছিল-সভা ও বন্ধ দরজা জানালা করোনা সংক্রমণের বড় কারখানা।

সুতরাং , সর্বদা তিন থেকে ছয় ফুট দূরত্ব রক্ষা করা, মাস্ক পড়া এবং হাত, মুখ, নাক হাত দ্বারা স্পর্শ করা থেকে দূরে থাকা- এই তিন জিনিষই আপনার আমার জীবনের রক্ষা কবচ হতে পারে। পরিবার-বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘোরাফেরা, আড্ডা দেয়া, বাজার-ঘাট, লোক সমাগম বিশেষ করে বয়স্করা যতদূর সম্ভব পরিহার করি।

করোনাক্রান্ত রোগীর সেবা, ঈদের জামাত, গরু কোরবানী ইত্যাদি যেহেতু করতেই হচ্ছে তবে করি মিনিমাম তিন ফুট দুরত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্য বিধি মেনে, ডাবল সার্জিকাল মাস্ক পরিহিত অবস্থায় অবশ্যই খোলামেলা পরিবেশে। এই ঈদের ছুটিতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে, যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে যানবাহনে সীমিত পরিসরে চলাচল করি। সামনা-সামনি বিতর্ক, ঝগড়া-ফাসাদ, হৈ হুলুস্তুল, গান-বাজনা, ডিজে পার্টি, রাগা-রাগি, মারা-মারি ইত্যাদি অন্তত এই দূর্যোগে এড়িয়ে চলি।

জাতীর এ ক্লান্তিকালে করোনা সংক্রান্ত সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্য বিধিমালা পুরোপুরি মেনে চলে বিপদগ্রস্ত জনগণের পাশে দাড়াই।
এমন মহাদূর্যোগকালে করোনা রোগীদের প্রতি বিশেষ নজর রাখি, আত্মীয়-অনাত্মীয় প্রতিবেশীর খোঁজখবর নেই, কোরবানীর মাংশ ভাগাভাগি করে খাই, গরীব-অসহায়দের সহায় হই এবং বয়স্কদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখি।

আল্লাহ আমাদের এই জাতি তথা বিশ্ববাসীকে হেফাজত করুক। বিষয়টি বৈজ্ঞানিক তথ্যবহুল ও এই মূহুর্তে জনস্বাস্থ্যের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিধায় হুবহু প্রচারের বিনীত অনুরোধ রইল।

লেখক :- ডাঃ মোঃ তৌহিদ হোসাইন ,সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অফ হিস্টোপ্যাথলজী,
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ কিডনী ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজী, শের-ই-বাংলা নগর, ঢাকা ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০৮ অপরাহ্ণ
  • ৪:২৮ অপরাহ্ণ
  • ৬:১৫ অপরাহ্ণ
  • ৭:২৮ অপরাহ্ণ
  • ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12