দুরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নুর তাপস বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন সাফল্যের নাম পদ্মা সেতু। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মানদীর ওপর দীর্ঘ ৬ দশমিক ১৫ কিলোমটার সেতু নির্মাণের ফলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের মর্যাদা অনেক বেড়েছে।
২৫ জুন বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গর্বের পদ্ম সেতু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে ব্যাপক আলোকসজ্জায় ঝলমল করছে পুরো ঢাকা দক্ষিণ সিটির গুরুত্বপূর্ণ ভবন, সড়ক ও এলাকা।
২৩ জুন (বৃহস্পতিবার) ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নুর তাপসের মুখপাত্র ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের ‘দৈনিক ব্যাংক বীমা অর্থনীতি’কে পদ্মা সেতু নির্মাণ ও উদ্বোধন উপলক্ষে এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, অসীম সাহসিকতা, তাঁর সততা এবং দৃঢ়তার ফলেই পদ্মা সেতু প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।
দেশি-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্র ও বিশ্ব ব্যাকের অসযোগতার পরও প্রধানমন্ত্রীর ঐতিহাসিক ও সাহসি সিদ্ধান্ত নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের আত্মমর্যাদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি শুধুমাত্র একটি বৃহাদাকার সেতু নির্মাণ (স্থাপনা) নয়, এটি তথাকথিত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে যারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি হরণ করতে চেয়েছে, তাদের গভীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যথার্থ এবং কঠিন জবাবও বটে।
মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস বলেন,পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিনা লের মানুষের সাথে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন রচিত হয়েছে। বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে এবং সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি আরও বেগবান হবে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০৪১ তথা উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে শক্তিশালী ভিত প্রতিষ্ঠা পাবে।
এদিকে ২৫ জুন বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গর্বের পদ্ম সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটির নগরভবন, সরকারি ভবন, আইল্যান্ড, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালসহ বড় বড় ভবন এবং নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক আলোকসজ্জায় সাজে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি সব এলাকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সাজসজ্জাসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পুরোদমে চলছে।
ওইদিন ঢাকা দক্ষিণ সিটির নগরভবন, প্রতিটি আ লিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের কার্যালয়, প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, ফ্লাইওভার,ফুটওভার ব্রিজ, সড়কের আইল্যান্ড, মার্কেট, সরকারি ভবনসহ পুরো এলাকার সড়ক নানা রঙের বাতিতে দৃষ্টিনন্দন আলোক সজ্জা করা হচ্ছে। #