দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার ভয়াবহতা থেকে নগরবাসীকে নিরাপদ রাখার জন্যই মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের ওপর পক্ষ্যকালী ব্যাপী বিশেষ ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ কর্মসূচি উদ্ধোধন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোঃ জামাল মোস্তফা। তিনি নগরবাসীকে আহবান জানিয়ে বলেছেন, আসুন সবাই মিলে মশার বংস ধ্বংস করি।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ডিএনসিসির ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মিরপুর ১৩ নম্বরে বিজয় রাকিন সিটি গেট অথাৎ পুলিশ কনভেনশন সেন্টারের পিছনে আনুষ্ঠানিকভাবে মশক নিধনের এই বিশেষ ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ কর্মসূচি উদ্ধোধন করেন ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র । আগাম সতর্কতামূলক এই কর্মসূচি চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, নগরীতে কিউলেক্স ও এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার লক্ষ্যে এই বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন,এরপরও নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা সবাই নিজেদের বাসা- বাড়ির ভেতর, বাহির এবং বাড়ির আশপাশে পরিত্যাক্ত স্থান নিজ উদ্যোগে পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাকি। ড্রেনগুলো পরিস্কার রাখি। মশার বংস ধ্বংস করি , নিজেরা ভাল থাকি এবং অপরকেও ভাল রাখতে সহযোগিতা করি।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র নগরবাসীকে আরো বলেন, নির্মাণ সামগ্রি ড্রেন এবং রাস্তার ওপর ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবেন না। ঢাকাকে একটি আধুনিক, পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত শহর গড়ার কাজে সহযোগতা করুন।
তিনি বলেন, ডিএনসিসিতে মশক নিধনে প্রয়োজনীয় নিজস্ব জনবল কম থাকায় আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে বেশকিছু কর্মী নিয়োগ দেওয়া আছে। প্রয়োজনে আরো কিছু কর্মী মশক নিধন এবং পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োগ করা হবে।
ডিএনসিসির সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া বলেন, নগরবাসীর সচেতনা বাড়াতেই মশক নিধনে এই বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কারণ জনগণ সচেতন না হলে, ডিএনসিসির একার পক্ষে শহর পরিস্কার রাখা এবং মশা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আমরা সবাই যে ভাবে নিজেদের বাসার ভেতর সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখি। ঠিক তেমনি বাসার বাইরেও যদি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করি, তা হলেই এই শহর সুন্দর থাকবে। আর এই শহর হবে পরিচ্ছন্ন ও মশা মুক্ত।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা.মোঃ মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, নগরীতে কিউলেক্স ও এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রজননস্থল ধ্বংস করতেই বিশেষ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিএনসিসির নিজস্ব জনবলের পাশাপাশি আউট সোসিং এর মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে সকালে- বিকেলে মশক নিনে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যে কোনো মূল্যে মশা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডিএনসিসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজ করে যাচ্ছেন । আর এই ব্যাপারে সবার সহযোহিতা প্রয়োজন রয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, ডিএনসিসির প্রধান বর্জব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর মঞ্জুর হোসেন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদা বিনতে সিরাজ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালেক মোল্লা প্রমুখ। এছাড়া অরো উপস্থিত ছিলেন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আবদুল হামিদ মিয়া, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমদাদুল হক, উপ প্রধান বর্জব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মফিজুর রহমান ভুঁইয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। # কাশেম