শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন

আম লিচু পরিবহনে ট্রেনের দাবি রাজশাহীর ব্যবসায়ীদের

দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
রাজশাহীর আম লিচু পরিবহন এবং বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে সাধারণত ট্রেন, ট্রাক ও কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করলেও করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় সব পরিবহন বন্ধ রয়েছে। যার ফলে বাগানে বাগানে দেখা মিলছেনা মৌসুমি ফল ব্যবসায়ীদের। এ সঙ্কট নিরসনে আজ শনিবার জনপ্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ, কর্মকর্তা, ফলচাষি, ব্যবসায়ীদের সাথে অনলাইনে বৈঠক করবেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।

ব্যবসায়ীরা গণমাধ্যমকে বলছেন, বর্তমানে ট্রাক ভাড়া বেশি পড়বে। মালিক ও ড্রাইভার করোনা এবং রাস্তায় চেকিং নামে হয়রানির অজুহাতে বেশি ভাড়া চাচ্ছেন। কুরিয়ার সার্ভিসে এখন অন্যান্য বছরের চেয়ে চার্জ বেশি। বাণিজ্যিকভাবে আমি ও লিচু সরবরাহ করার জন্য ট্রেন চালু করলে সঙ্কট কিছুটা কমতে পারে।

জানা গেছে, কৃষকদের দাবির মুখে সম্প্রতি পঞ্চগড় থেকে কাঁচামাল পরিবহনের জন্য একটি বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়েছে। একই দাবি করবেন রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পর আম উৎপাদনে এগিয়ে থাকা নওগাঁ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, সাতক্ষীরা জেলা আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আম ব্যবসায়ী ও আড়তদার মনজুর হোসেন বলেন, বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছয়-সাত ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি ঢাকা পৌঁছে যায়। যদি এই ট্রেনের সাথে আরো ৪-৫টি মালবাহী ওয়াগন সংযুক্ত করা হয় তাহলে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার টন আম পরিবহন করা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে এখনই রেল মন্ত্রণালয়কে সিদ্ধান্ত নেয়া দাবি জানান তিনি।

আম উৎপাদনকারী অন্যান্য জেলার ব্যবসায়ীরাও চলতি বছর ট্রেনের মাধ্যমে আম সরবরাহ করার দাবি জানাবেন। কুরিয়ার সার্ভিস ও বেসরকারি ট্রাকগুলোর পরিবহন ভাড়া সহনীয় মাত্রায় রাখা এবং রাস্তায় কোনো হয়রানি না করার দাবি ও জানাবেন চাষি ও বিক্রেতারা।

আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমচাষিরা বলছেন, গত ৩ বছর ধরে ক্রমাগত আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনছে বিভিন্ন কারণে। যেমন আম সংগ্রহে তারিখ বেঁধে দেয়া, কারবাইড দিয়ে আম পাকানোর অভিযোগে ট্রাকভর্তি আম ধ্বংস করে দেয়া, পরিবহন ধর্মঘট, ভারত থেকে আম আমদানি করা, প্রচুর পরিমাণে আম রফতানি না হওয়া, আম সংরক্ষণে বিজ্ঞানসম্মত কোনো পদ্ধতি উদ্ভাবন না হওয়া, আম সংরক্ষেণের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইথোফেন ব্যবহারকারীদের প্রশাসন কর্তৃক জরিমানা করা।

আমচাষিরা বলছেন, পর পর ৩ বছর লোকসান হওয়ায় চাষিরা এবার আমগাছের জন্য প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করেনি। ফলে মাত্র ৬৪% আম গাছে মুকুল এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই এবার আম উৎপাদন কম হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে ২৫ লাখ ৩৯ হাজার ৬৩০টি আমগাছ রয়েছে।
এই আমই জেলার প্রায় ৮ লাখ মানুষের মধ্যে আড়াই লাখ মানুষের সারা বছরের আয় রোজগারের উৎস। এই আম মৌসুমজুড়ে কমপক্ষে প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকার লেনদেন বা ব্যবসা হয় শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জেই।

স্থানীয়রা জানান, এসব আড়তে বড় বড় ক্রেতারা আসেন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে। এর মধ্যে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। তাই এ জেলা থেকে আসা পাইকারদের কিভাবে আলাদা করে চিহ্নিত করবে তা-ও বলা হয়নি প্রশাসন থেকে। পাইকারদের থাকার জন্য নির্দিষ্ট হোটেলগুলো খোলা হবে কি না তা-ও নিশ্চিত নয়।

দেখা মিলছে না মৌসুমি ব্যবসায়ীদের : প্রতি বছর আম নামানোর আগে কয়েক দফায় বাগান বিক্রি হলেও এবার করোনাভাইরাসের কারণে চিত্রটা উল্টো। আম বাজারজাত করতে না পারার আশঙ্কায় বাগান মালিকদের কাছ থেকে আম কিনছেন না ব্যবসায়ীরা। এতে আম বিক্রি ও দাম নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন বাগান মালিকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রাজশাহী বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সুধেন্দ্র নাথ রায় বলেন, কৃষিপণ্য উৎপাদন ও বিপণনে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। রাজশাহী অঞ্চলে আম ও লিচুর ব্যাপক ফল হয়েছে। এই ফল এখন বিপণনই আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ।#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:২২ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০২ অপরাহ্ণ
  • ৪:৩০ অপরাহ্ণ
  • ৬:২৪ অপরাহ্ণ
  • ৭:৪০ অপরাহ্ণ
  • ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12