দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্টস লিমিটেডের গ্রীন মডেল টাউনের পুরাতন সাইট অফিসের ড্রাম, বালতি, রান্নার তৈজসপত্র ও টায়ারে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অঞ্চল-৭ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরশাদ উদ্দিন ৭১ নম্বর ওয়ার্ডস্থ আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্টস লি. এর মালিকানাধীন গ্রীন মডেল টাউনের পুরাতন সাইট অফিসের সাইট ইনচার্জ বদরুদ্দোজা খানকে এই জরিমানা করা হয়।
এর আগে গত ২৪ জুলাই ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্টস লি. এর প্রকল্প এলাকার নর্দমা ও চৌবাচ্চায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এবং অবিক্রিত প্লটগুলো অপরিষ্কার রাখায় সাইট ইনচার্জ জামিলকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করেছিল অঞ্চল-৭ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান।
এছাড়াও আজ আরও ৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত করপোরেশনের আওতাধীন ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, হাতিরপুল, ভূতের গলি, উত্তর মুগদা, পূর্ব রসুলপুর, কামরাঙ্গীরচর, আগা সাদেক রোড, আব্দুল হাদী রোড, বাংলাদেশ মাঠ, পশ্চিম জুরাইন, শ্যামপুর, মীরহাজিরবাগ রোড, যাত্রাবাড়ী, পশ্চিম নন্দীপাড়া, বড় বটতলা, গ্রীন মডেল টাউন ও প্রিভেইল স্কুলের পার্শ্ববর্তী এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একরামুল হক ছিদ্দিক ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, হাতিরপুল ও ভুতের গলি এলাকায় ২১টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলীমা বেগম ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মুগদা এলাকায় ৪৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একরামুল হক ছিদ্দিক ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রসুলপুর ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ৪২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের আগা সাদেক রোড, আব্দুল হাদী রোড ও বাংলাদেশ মাঠ এলাকায় ৮৮টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমি জেরিন কান্তা ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের মীর হাজিরবাগ রোড ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৬০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম জুরাইন ও শ্যামপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। ২ আদালত এ সময় ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
ছয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শুভাশিস ঘোষ ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নন্দীপাড়া ও বড় বটতলা এলাকায় ৮৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
দশ অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনজুর হোসেন ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রিভেইল স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ৮১টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আজকের অভিযানে ৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সর্বমোট ৫৪২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ৯টি বাসাবাড়ি, সাইট অফিস ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৯ মামলায় সর্বমোট ২ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। #কাশেম