দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল ভরাট ও দখলের আর সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ভরাট হওয়া আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল খননের পাশাপাশি সীমানা নির্ধারণ এবং স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত করা হচ্ছে। মেয়র তাপস বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীকে কেন্দ্র করে ঢাকার গোড়াপত্তন ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হবে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায় এবং নির্দেশনা রয়েছে।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলে চলমান পরিষ্কার ও খনন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, ঢাকা দক্ষিণ সিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অঞ্চল -১ এর  নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, অঞ্চল-৩ এর আ লিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

মেয়র শেখ তাপস বলেন, এতোদিন সরকারের কোনও সংস্থা আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল দখল মুক্ত করতে পারেনি। সরকারের পক্ষ থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটিকে দায়িত্ব দেওয়ার পরই সুন্দরভাবে এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় খনন ও দখল মুক্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দখলমুক্ত ও সীমানা নির্ধারণ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলকে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রকল্প প্রণয়নের কাজও শুরু হয়েছে।

মেয়র শেখ তাপস বলেন, আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে পূর্ণ প্রকল্পটা বাস্তবায়ন করতে পারলে ঢাকার দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়ে যাবে। নদীমুখী ঢাকার যে আবির্ভাব, যে গোড়াপত্তন তা আবার দৃশ্যমান হবে।

পরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র শেখ তাপস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখছি। কীটপতঙ্গের বা এডিস মশার বিবর্তনের পরিবর্তন দেখছি এবং সময়সীমার পরিবর্তন দেখছি। এ সম্পর্কে আমাদের পূর্বাভাস পাওয়া প্রয়োজন। আপনার লক্ষ্য করছেন যে, এবার এডিস মশার প্রাদুর্ভাব অক্টোবর ছাড়িয়ে নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় চলমান রয়েছে। এখন কার্তিক মাসের শেষ দিন। এতোদিন এডিস মশার প্রাদুর্ভাব থাকার কথা ছিল না। এখন আমরা শুষ্ক মৌসুমে চলে এসেছি। কিন্তু তারপরও আমরা এডিস মশার বিস্তার লক্ষ্য করছি। ফলে এডিস মশা নিধনের জন্য, নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের কাজ চলমান রাখতে হচ্ছে।

মৌসুমের পরেও এডিস এবং মৌসুমের আগে কিউলেক্স মশার বিস্তার হওয়ার কারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের আরও কার্যকর গবেষণা করা প্রয়োজন এবং এ ধরনের গবেষণায় সহযোগিতা করা হবে জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “এই বিষয়গুলো নিয়ে আরও বেশি গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। সেজন্য যদি কোনও বরাদ্দ প্রয়োজন হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তা দিতেও প্রস্তুত আছে। কারণ আমরা ঢাকাবাসীকে মশক নিয়ন্ত্রণের সুফল পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।”

এর আগে মেয়র নগর ভবনের সামনের রাস্তায় চলমান উন্নয়ন কাজ এবং পরে ধানমন্ডি ২/এ রোডে আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুত বিতরণ ব্যবস্থা কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়াবলি পরিদর্শন করেন।

# কাশেম