দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান প্রতারক ডা. সাবরিনা চৌধুরীর স্বামী আরিফ চৌধুরী ও তার সহযোগী সাঈদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাবিধি অনুযায়ী তাদের স্বাস্থ্য সেবা নিতে কারাকর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রোববার (১৯ জুলাই) দুই দফা রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা বেগম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অপরদিকে তাদের আইনজীবীরা তাদের উন্নত চিকিৎসা সেবার জন্য আবেদন করেন। কারাবিধি অনুযায়ী তাদের চিকিৎসা সেবা নিতে কারাকর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে বুধবার কারাগার থেকে ভার্চুয়াল আদালতে তাদের উপস্থিত দেখানো হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৪ জুন আরিফ চৌধুরী ও সাঈদ চৌধুরীর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। ২৩ জুন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর বিমানবন্দর, আশকোনা ও গুলশান-২ এর কনফিডেন্স টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৭ জুলাই) করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তেজগাঁও থানার প্রতারণা মামলায় দ্বিতীয় দফায় তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
১৩ জুলাই সাবরিনার ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১২ জুলাই দুপুরে আলোচিত চিকিৎসক সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানার করা মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। # সূত্র : বাসস