সর্বশেষঃ
র‌্যাক স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ফুটবলে ৪-০ গোলে বিজয়ী বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন ‘শেখ বশিরের’ বিরুদ্ধে হত্যা মামলা: বাদী নিশ্চিত নয়, উপদেষ্টা সেখ বশির আসামি বিমানবন্দরে অতিথির সম্মান পাবেন প্রবাসীরা: ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুলশানে রাস্তা ও ফুটপাতের ২৫০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ফরিদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৫ জন আটক বন্যায় ক্ষতবিক্ষত রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়ক , জনভোগান্তি ১২০ টাকায় পুলিশের টিআরসি নিয়োগ: পুলিশ সুপার ফরিদপুর পদ্মাসেতু থেকে শরীয়তপুর  সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবীতে মানববন্ধন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ১,৩১,৩৭৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ‘সরকারি প্রকল্পে অপচয় রোধে সচেষ্ট থাকতে হবে’
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন

অবশেষে রাজশাহীর সুফিয়া হত্যাকান্ডের মূল রহস্য বেরিয়ে আসছে

বিশেষ প্রতিবেদক, দূরবীণ নিউজ ২৪.কম:
অবশেষে রাজশাহীর দামকুড়া থানার হরিপুর ইউনিয়নের টেংরামারি গ্রামের গৃহবধু মোসা. সুফিয়া বেগম (৪৫) হত্যার মূল রহস্য বেরিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে উদ্ধার হয়েছে সুফিয়া হত্যাকান্ডে ব্যবহ্নত রক্তমাখা ১২ ইঞ্চি লম্বা ১টি ছুরি, ছিনিয়ে নেয়া ৬ আনা ওজনের সোনার চেইন, ৪ আনা ওজনের কানের ২টি দুল ও নগদ ২ হাজার টাকা।

জানা যায়, রাজশাহী মহানগর সিআইডি বিভাগের দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা ও বিচক্ষনতার ফলেই সুফিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্মরণ আলী (২৮) ৪ দিনের রিমান্ডের ৩ দিনের মাথায় বাধ্য হয়েছে এই হত্যাকান্ডের বিষয়ে মুখ খুলতে। কিন্তু ৪ দিনের রিমান্ডের অপর দুই আসামি স্মরণ আলীর বড় ভাই মিলন ও মিলনের স্ত্রী সাথী বেগম এখনো মুখ খুলছেন না।

শনিবার (২০ জুন) দুপুরে সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক আনিসুর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা মামলার প্রধান আসামি স্মরণ আলী রিমান্ডের তৃতীয় দিনে হত্যাকান্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। এরপর পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। একই সাথে স্মরণ আলীর কথামতো এই হত্যাকান্ডে ব্যবহ্নত অস্ত্র ও লুণ্ঠিত কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়।

সিআইড পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, দামকুড়া থানার হরিপুর ইউপির টেংরামারি গ্রামে আসামির বাড়ির পাশে মুরগির ফার্ম থেকে রক্ত মাখা কাঠের বাটসহ ১২ ইঞ্চি লম্বা ১টি ছুরি উদ্ধার করা হয়।

ছবিতে – রাজশাহীর সুফিয়া হত্যাকান্ডে ব্যবহ্নত ছুরি; উপরে দুই সন্তানসহ সুফিয়া বেগম

সুফিয়াকে হত্যার সময় তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া ৬ আনা ওজনের সোনার চেইন, ৪ আনা ওজনের কানের ২টি দুল ও নগদ ২ হাজার টাকা আসামি স্মরণ আলী নিজের হাতে তার ঘরের স্টিলের আলমারির উপরে কাগজের নিচে থেকে বের করে দিয়েছ। আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে ধারণা করছেন সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তারা।

জানা যায়, মামলা দায়েরের একদিন পরই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডি পুলিশকে। সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক আনিসুর রহমান গ্রেফতারকৃত আসামি স্মরণ আলীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে রাজশাহী সিএমএম আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন জানান। কিন্তু করোনা পরিস্তিতিতে আদালত বন্ধ থাকায় রিমান্ডের আবেদন শুনানি হয়নি। পরে গত ১৮ জুন আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অবেদন শুনানি শেষে স্মরন আলীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ডের স্থলে ৪ দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন।

এদিকে, ২০ জুন (শনিবার) আসামিদের রিমান্ডের ৩ দিন চলছে। রিমান্ডের তৃতীয় দিনে আসামি স্মরন আলী স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আসামির জবানবন্দি মোতাবেক হত্যাকান্ডের কিছুর আলামত ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার হলেও আরো অনেক কিছু উদ্ধার বাকি রয়েছে।

জানা যায়, গত ১৯ মে দিবাগত রাতে অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে ঠান্ডা মাথায় সংঘবদ্ধ অপরাধীরা নির্মমভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গৃহবধু মোসা. সুফিয়া বেগমকে জবাই করে পালিয়ে যায়।

ঘটনার পর দিন ২০ মে নিহতের (সুফিয়া বেগম) স্বামী মো. আনিসুর রহমান (৫৫) বাদী হয়ে রাজশাহীর দামকুড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর – ৯, ধারা ৩০২, পেনাল কোড – ১৮৬০। মামলা দায়েরের পর ওই দিনই হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি টেংরামারি গ্রামের আনারুল হকের ছেলে স্মরণ আলী (২৮), স্মরণ আলীর বড় ভাই মিলন ও মিলনের স্ত্রী সাথী বেগমকে গ্রেফতার করে দামকুড়া থানা পুলিশ। তবে এতোদিন আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আসামিকে সরাসরি জেল হাজতে রাখা হয়।

বাদী মো. আনিসুর রহমান মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তার প্রতিবেশি ১. মো. স্মরন আলী (৩২), পিতা- মো. আনারুল হক; ২. মোসা: সাথি খাতুন (২৮), স্বামী- মো. মিলন এবং আরো অজ্ঞাত নামা আসামিরা গত ১৯ মে রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টা থেকে রাত সোয়া ৯ টার মধ্যে পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে বাসায় একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে।

বাদীর সন্দেহ হচ্ছে, প্রতিবেশিদের সাথে আগে থেকেই চলে আসা পারিবারিক কলহ এবং জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের কারণেই হয়তবা এই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। আর ওই বিরোধের জের ধরেই বাসায় একা পেয়ে পরিকল্পিতভাবে খুন করে অপরাধীরা।

নিহতের ছেলে সাদিকুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনার রাতেই পাশের বাড়ির আনারুল হকের ছেলে খুনি স্মরন আলীর লুঙ্গি ও মাথা ভেজা দেখেই তাদের সন্দেহ হয়েছে। ওইসময় অনেকটা আতঙ্কিত অবস্থায় সরণ আলী ঘরে বসেছিল। শরীর ভেজা কেন জানতে চাইলে সে কোনো উত্তর দিতে পারেনি।

১৯ মে রাতে ৮ টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কোথায় ছিল জানতে চাইলে স্বরণ আলী লোকজনকে জানিয়েছিল যে, সে মসজিদে নামাজ পড়ছিল। কিন্তু ওই সময় স্মরন আলীকে কেউই মসজিদে দেখেননি বলে জানা যায়।

পরে স্মরণ আলীর মা লোকজনকে বলেন, স্মরণ বাড়িতেই নামাজ পড়েছে। এতে সবার সন্দেহ আরো বাড়তে থাকে।
আর এই ঘটনায় মামলার পরে পুলিশ এসে স্মরণ আলী, তার বড় ভাই মিলন ও মিলনের স্ত্রী সাথী বেগমকে গ্রেফতার করে। পরদিন মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ তদন্তে এসে ২০ মে স্মরণ আলীর বাড়ির ছাদ থেকে তার ব্যবহৃত রক্তমাখা প্যান্ট ও টি-শার্ট উদ্ধার করে। # কাশেম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ
  • ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
  • ৫:১৪ অপরাহ্ণ
  • ৬:৩১ অপরাহ্ণ
  • ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12