নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,এই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের পতাকা হাতে নিয়ে ঢাকার মাটিতে নামবেন বলে জানিয়েছেন দলটির । তিনি বলেন, ‘সেদিন আমরা সবাই জেগে উঠবো। গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য, সার্বভৌমত্বের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় গতকাল সোমবার তিনি এ কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তারেক রহমান। আলোচনা সভার শুরুতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২০০২ সালে চীন সফরের একটি স্মৃতি তার এখনো মনে আছে। সে সময় খালেদা জিয়া চীনের প্রধানমন্ত্রীকে তারেক রহমানকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘হি ইজ মাই সান’। তখন চীনের প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানের দুই হাত ধরে বলেছিলেন, ‘ক্যারি দ্য ফ্ল্যাগ অব ইউর ফাদার অ্যান্ড মাদার’। সেই জাতীয়তাবাদী পতাকা, স্বাধীনতার পতাকা ও গণতন্ত্রের পতাকা নিয়েই তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পর নতুন সরকার এলে অনেকের মধ্যেই শঙ্কা কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটে আমরা নির্বাচিত হয়ে এলে ইনশাআল্লাহ জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তাদের কোনো অনিরাপত্তার ঝুঁকিতে যেতে দেওয়া হবে না।’
একাত্তরের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারাই আজ নতুন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চায়। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনেই সিদ্ধান্ত হবে দেশ উদার গণতান্ত্রিক পথে এগোবে, নাকি পশ্চাৎপদতার দিকে যাবে।
শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের বন্ধু, সহকর্মী ও সন্তান হাদির ওপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। সারাদেশে বিক্ষোভ হয়েছে। আমরা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়েছি।’ তিনি দাবি করেন, হামলাকারী হিসেবে যাকে চিহ্নিত করা হয়েছে, তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন সন্ত্রাসী।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, হাফিজ উদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, যুব দলের নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজীব আহসানসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।
#