সর্বশেষঃ
২৫ পদের মধ্যে ২০ পদে ছাত্রশিবিরের সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট বিজয়ী ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা   সেনাবাহিনী নেপালের  নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে  নেপালে আটকে পড়ছে বাংলাদেশি খেলোয়াড়সহ পর্যটকরা  ডাকসুর নির্বাচনে শিবিরের  ভিপি ১২১০৬ ভোট ,ছাত্র দলের ভিপি ৪৯১৫ ভোট এবার ডাকসুর ভোট গণনায় ১৪ মেশিন উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল ৮টায় ডাকসুর ভোট গ্রহণ শুরু হচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে ডিএনসিসিতে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের দোয়া অনুষ্ঠান ৩০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন, আইএমএফ থেকে এক-দেড় বিলিয়ন আনতেই জান বের হয় এবার শিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েমের উপর সাইবার অ্যাটাক
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন

শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন জন নিহত যশোরে

দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোর নিহতের ঘটনা নিয়ে কর্তৃপক্ষ ও বন্দী একে অপরকে দোষারোপ করে চলেছেন। কর্তৃপক্ষের দাবি দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাদের ভাষ্য মতে, ফলোআপ সংঘর্ষের ঘটনায় তিন কিশোর নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছে।

এ দিকে, যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোর বন্দি নিহতের ঘটনায় নতুন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দুই গ্রুপের সংঘাত নয়, কর্মকর্তারা ঠাণ্ডা মাথায় পিটিয়ে হত্যা করেছে তাদের।

আহত কিশোররা বলছে, গত ৩ আগস্ট কেন্দ্রের হেড গার্ডের সাথে দ্বন্দ্ব ও মারপিটের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং অন্য বন্দিরা বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত তাদের হাত-পা-মুখ বেঁধে দফায় দফায় মারধর করেছে। অচেতন অবস্থায় তাদের ফেলে রাখা হয়। সে কারণে বিনা চিকিৎসায় তাদের তিনজন মারা যায়।

বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর রাতে যশোরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে যান। গভীর রাত পর্যন্ত তারা সেখানে থেকে ঘটনা বোঝার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে খুলনা রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজিও আসেন। রাত তিনটার দিকে তিনি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে বের হন।

শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সংবাদিকদের জানান, কোরবানির ঈদের পর গত ৩ আগস্ট বন্দি রবিউল ও পাভেলের মধ্যে মারামারি হয়। এ সময় এই দুজনসহ তাদের গ্রুপের বন্দিদের যার যার ইউনিটে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিলো। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই গ্রুপের মধ্যে ফের মারামারি হয়। এ ঘটনায় তিন জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়।

যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম পিপিএম সংবাদিকদের জানান, পুলেরহাটস্থ শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে (বালক) বন্দিদের দুটি গ্রুপ রয়েছে। এর একটি গ্রুপের নেতৃত্বে বন্দি পাভেল ও অপর গ্রুপের নেতৃত্বে বন্দি রবিউল। এই দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে মারামারি হয়। এ ঘটনায় ৩ বন্দি নিহত হয়।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বন্দি চুয়াডাঙ্গার পাভেল বলে, ‘গত ৩ আগস্ট কেন্দ্রের হেড গার্ড (আনসার সদস্য) নূর ইসলাম তার চুল কেটে দিতে বলেন। সেদিন কেন্দ্রের প্রায় দুই শ’ জনের চুল কেটে দেওয়ায় আমার হাত ব্যথা ছিল।
সে কারণে তার চুল পরে কেটে দেয়া হবে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে কয়েক কিশোর তাকে মারধর করে। বিষয়টি তিনি অফিসে জানান।

নূর ইসলাম অভিযোগ করেন, কিশোররা মাদক সেবন করে তাকে মারধর করেছে। কিন্তু কিশোররা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে তারা মাদক সেবন করেনি।’

পাভেল আরো জানায়, ‘ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে আমাদের অফিসে ডাকা হয় এবং এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।

আহত আরেক কিশোর নোয়াখালীর বন্দি জাবেদ হোসেন জানায়, ‘স্যাররা ও অন্য বন্দি কিশোররা আমাদের লোহার পাইপ, বাটাম দিয়ে মেরেছে।

যশোরের বসুন্দিয়া এলাকার বন্দি ঈষান জানায়, ‘নিহত রাসেল আর আমি একই রুমে থাকতাম। আগামী মাসেই তার জামিনে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। স্যারদের বেদম মারপিট আর চিকিৎসা না পেয়ে সে মারা গেছে।’

আহতরা জানায়, মারধর করে তাদের এখানে সেখানে ফেলে রাখা হয়। পরে একজন করে মারা গেলে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর রাত ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে চার দফায় আহতদের হাসপাতালে আনা হয়।

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রবেশন অফিসার মুশফিক আহমেদ বলেন, ‘সম্প্রতি কেন্দ্রে বন্দি কিশোরদের দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। রডের আঘাতে ও মারপিটে মারাত্মক জখম হয় ১৪ কিশোর। প্রাথমিকভাবে উন্নয়ন কেন্দ্রেই তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আশঙ্কাজনক আহতদের একে একে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে নাইম, পারভেজ ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।’

খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম সংবাদিকদের জানান, ‘সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে মর্মান্তিক ও অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। আমরা যারা অপরাধ নিয়ে কাজ করি, তারা ঘটনার প্রায় ছয় ঘণ্টা পরে বিষয়টি অবহিত হয়েছি।

তিনি বলেন, ‘যারা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তারাই এই ঘটনার মূল সাক্ষী। আমাদের অনুসন্ধানে তাদের বিষয় গুরুত্ব পাবে।

যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, তদন্ত ছাড়া এই ঘটনার বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে চান না।

বিভিন্ন মামলায় ১৮ বছরের নিচের সাজাপ্রাপ্ত বালকদের জন্য দেশে দুটি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র আছে। যার একটি গাজীপুরের টঙ্গিতে, অন্যটি যশোর শহরতলীর পুলেরহাটে। এ কেন্দ্রে মোট বন্দির সংখ্যা ২৮০ জন। #


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

[prayer_time pt="on" sc="on"]

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12