দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
রাজধানীর বাংলামটরে ৫ কাঠা জমিসহ কয়েক কোটি টাকার বাড়ি দখলের জন্য ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা মা আমিনা খাতুনকে বারা বার নির্যাতনের অভিযোগ।

আমিনা খাতুন বলেন,তার স্বামী হাজী মনু মেম্বার মারা যাবার সময় রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে তিনি সন্তানদের নিয়ে রাজধানীর ১৬ লিংক রোড, বাংলা মটর ৫ কাঠা জমির ওপর নির্মিত দোতলা টিসেড বাড়িতে শান্তিতে বসবাস করে আসছেন।

শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ ক্র্যাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ উপস্থাপন করেন বৃদ্ধা আমিনা খাতুন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বৃদ্ধার অপর ছেলে মো. নূরুল হুদা উজ্জল এবং বৃদ্ধার মেয়ে শারমিন সুলতানা।

তিনি বলেন, তার ৫ ছেলের মধ্যে এক ছেলে অনেক আগে মারা যায়। বর্তমানে ৪ ছেলে জীবীত আছেন। এরমধ্যে নুর আলম পুরো বাড়িটি একা দখল করার জন্য বাইরে থেকে এসে বার বার ওই বাড়িতে হামালা চালায়। বাধা দিলে নুর আলমক বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে বৃদ্ধা মাকে মারধোর করেন।

সংবাদ সম্মলনে বলা হয়,গত ৯ অক্টোবর শুক্রবার বেলা ১১ টায় নুর আলম বহিরাগতা ১৮/২০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে ওই বাড়িতে এসে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেন, তাদেরকে চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায়, তারা বাড়ী-ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। ওই সময় বৃদ্ধা আমেনা খাতুন এবং তার অপর ছেলের উজ্জ্বল ও উজ্জ্বলের স্ত্রী নূসরাত জাহান, গৃহকর্মী সানোয়ারা বেগম এগিয়ে আসলে তাদের মারধোর করেন।

সন্তাসীরা বৃদ্ধার গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার এবং , স্ত্রী নূসরাত জাহানের কানের ১২ আনা ওজনের স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়। উজ্জ্বলের পকেটে থাকা তিন হাজার টাকাও কেড়ে নিয়ে যায়। শুধু তাইনয়, ওইসময় তাদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এদিকে আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে পরে শাহবাগ থানায় গিয়ে একটি জিডি ও অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরণের সহযোগিতা তারা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন।
পরে বৃদ্ধার পক্ষ থেকে তার অপর ছেলে উজ্জ¦ল আদালতে সন্ত্রাসী নুর আলম ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করি (মামলা নং- ২৪৮/২০২০ইং)।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করেন, গত ১৭ অক্টোবর শনিবার মিমাংসার কথা বলে শাহবাগ থানার এসআই সুজন দুই পক্ষকেই থানায় ডেকে নেয়। ওই দিন থানায় অভিযুক্ত নূর আলমসহ তার পক্ষের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা একতরফাভাবে কথা বলেন। তাদের তৈরি করা একটি কাগজে অভিযোগকারীদের জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়। আর ওই কাগজে স্বাক্ষর না করলে আমাদেরকে ক্রস ফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। কিন্তু স্বাক্ষরকৃত কাগজের ফটোকপি পর্যন্ত অভিযোগকারীদের দেওয়া হয়নি।

বর্তমানে পুরো পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। তারা এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপিসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। #