দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী তাসলিমা ইসলামসহ (সাবেক পরিচালক) ৮ জনের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমি কেনার নামে ১১৫ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ গতবৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টম্বর) উপ-পরিচালক শারিকা ইসলাম বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দন্ডবিধির ১৮৬০-এর ৪০৯ ও ১০৯ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২,৩) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
এই মামলার অপর আসামীরা হলেন; জমি বিক্রেতা সেলিম মাহমুদ, সাবেক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. হেমায়েত উল্যাহ, কোম্পানির ইভিপি ইঞ্জিনিয়ার আমির ইব্রাহিম, সার্ভে রিপোর্ট প্রণয়নকারী টিপু সুলতান, ফুয়াদ আশফাকুর রহমান ও মোহাম্মদ আলম খান।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালে ফারইস্ট ইসলামী লাইফের কাকরাইলে বিভিন্ন মালিকের কাছ থেকে ৮ হাজার বর্গফুটের পুরোনো ভবনসহ ৩২ শতাংশ জমি বিভিন্ন মালিকদের কাছ থেকে ২০৮ কোটি টাকায় ক্রয় করা হয়।এই ৩২ শতাংশ জমির মধ্যে ফারইস্ট লাইফের তৎকালীন চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের শ্বশুর মো. মফিজুল ইসলাম ও শ্যালক মো.সেলিম মাহমুদের কাছ থেকে ১৭২ কোটি টাকায় ক্রয় করা হয়। পরে জমি বিক্রির টাকার থেকে শ্যালক মো.সেলিম মাহমুদেরতার বোন তাসলিমা ইসলামকে ২৭ কোটি এবং শ্বশুর মো. মফজুল ইসলাম তার মেয়ে ৮৮ কোটি টাকা দান করেন বলে তাদের ২০১৫-১৬৭ আয়কর নথিতে উল্লেখ করেন।
এর আগে উক্ত জমি ক্রয়/ বিক্রয়ে আগে নজরুল ইসলাম ও আসামীরা নীতিমালা ভঙ্গ করে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ভুয়া সার্ভে ফার্মের সহযোগিতায় ২৮ শতাংশ জমি প্রকৃত মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দাম নির্ধারণ করেন। পরবর্তী সময়ে নজরুল ইসলাম, তার স্ত্রী, তার শ্বশুর এবং শ্যালক ওই জমি বিক্রি করে ১১৫ কোটি টাকা নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে স্থানান্তর করেন।
মামলায় আর উল্লেখ্য করা হয়েছে, পরে নজরুল ইসলামের মালিকানাধীন“ রামিমা এন্টারপ্রাইজের অ্যাকাউন্টে ২০১৫ সালের ২৫ জুন ও ২৮ জুন ২৫ কেটি করে মোট ৫০ কোটি টাকা স্থানান্ত করা হয়। এই ৫০ কোটি টাকা নজরুল ইসলাশের স্ত্রী তাসলিম ইসলাম তার স্বামীকে দান করার ঘোষণা দিয়েছে (২০১৫-১৬ ) আয়কর নথিতে।তারা পরিকল্পিতভাবে এই ১১৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। আর অপরাধে আসামীদের বিরুদ্ধে দÐবিধি ১৮৬০-এর ৪০৯ ও ১০৯ ধারা ও মানি লন্ডারিং আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। #কাশেম
#