সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে প্রস্তাবিত তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরে ভারতীয় সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আট বছর আগে দুই দেশের সরকারের সম্মতি অনুযায়ী বাংলাদেশ এ চুক্তি আশু স্বাক্ষরের জন্য গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে।
ভারতের রাজধানীতে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি (শেখ হাসিনাকে) অবহিত করেছেন যে তার সরকার ভারতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নিয়ে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে চুক্তিটি সম্পাদনের জন্য কাজ করছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘২০১১ সালে দুই সরকারের সম্মতি অনুযায়ী তিস্তা নদীর পানি বণ্টনে ফ্রেমওয়ার্ক অব ইন্টেরিম এগ্রিমেন্ট আশু স্বাক্ষর ও বাস্তবায়ন’-এর জন্য বাংলাদেশের জনগণ অপেক্ষায় রয়েছে একথা বলার পরিপ্রেক্ষিতে মোদি তার বক্তব্য দেন।
বিবৃতি অনুযায়ী দুই প্রধানমন্ত্রী যুগপৎভাবে অপর ছয়টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনেও দ্রুততার সাথে সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত বিনিময় এবং ফ্রেমওয়ার্ক অব ইন্টেরিম এগ্রিমেন্টের খসড়া প্রস্তুত করার জন্য যৌথ নদী কমিশনের কারিগরি পর্যায়ের কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অপর নদীগুলো মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা ও দুধকুমার উল্লেখ করে এতে বলা হয়, দুই নেতা ফেনী নদীর পানি বণ্টনে খসড়া ফ্রেমওয়ার্ক অব ইন্টেরিম এগ্রিমেন্ট সুনির্দিষ্ট করারও নির্দেশ দেন।
মোদির সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতকারে রোহিঙ্গা সমস্যাও উঠে আসে উল্লেখ করে বলা হয়, মোদি এসব বাস্তুচ্যুত লোকদের নিরাপদ, দ্রুত ও স্থায়ীভাবে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের নিজ বাড়ি-ঘরে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হন।
৫৩-দফা বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা পরিস্থিত ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতিসহ তাদের (রোহিঙ্গাদের) ফিরে যাওয়া সুগম করতে আরো বৃহত্তর প্রয়াস গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও তারা (দুইনেতা) একমত পোষণ করেন।
এতে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের’ আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, নয়াদিল্লী কক্সবাজারের অস্থায়ী ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে বাংলাদেশ সরকারের মানবিক প্রয়াসে সহায়তা করতে পঞ্চম কিস্তি মানবিক সহায়তা সরবরাহ করবে।তিনি বলেন, সহায়তার এ কিস্তিতে থাকবে তাবু, ত্রাণ ও উদ্ধার সরঞ্জাম এবং মিয়ানমার থেকে আসা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে এক হাজারটি সেলাই মেশিন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় যে ভারত রাখাইন রাজ্যে এ পর্যন্ত ২৫০টি বাড়ি তৈরির প্রথম প্রকল্প সম্পন্ন করেছে এবং দেশটি এখন ওই এলাকায় অপর একগুচ্ছ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শেখ হাসিনা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত লোকদের প্রয়োজন মোতাবেক সহায়তায় ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের মানবিক সহায়তার জন্য ঢাকার কৃতজ্ঞতা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ”শান্ত, স্থিতিশিলতা এবং অপরাধ মুক্ত সীমান্ত”নিশ্চিত করতে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কার্যকর এবং যতশিগগির সম্ভব দু’দেশের সকল বাকি স্থানে সীমান্ত বেড়া নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে তাদের নিজ নিজ সীমান্ত বাহিনীকে নির্দেশ প্রদানের ওপর দুই প্রধানমন্ত্রীই গুরুত্বারোপ করেছেন।
দু’নেতাই সীমান্তে বেসামরিক লোকের হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ এবং এ ধরনের সীমান্ত হত্যাকান্ডের ঘটনা জিরোতে নামিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সীমান্ত বাহিনীকে নির্দেশ প্রদানে সম্মত হন। বিবৃতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতি এবং অঞ্চলে শান্তি নিরাপত্তা এবং স্থিতিশিলতা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার নির্দেশনার প্রশংসা করেন।
তবে বিবৃতিতে বলা হয়, দু’দেশ এবং অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশিলতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হুমকিগুলোর মধ্যে সন্ত্রাস একটি। বিবৃতিতে দুই নেতাই যে কোন ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা যে কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সর্মথন করার কোন যুক্তি হতে পারে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
শেখ হাসিনা এবং মোদি সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত দু’দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে জঙ্গিবাদ, চরমপন্থী, সন্ত্রাস, চোরাচালানী, জাল মূদ্রা পাচার এবং সংঘটিত অপরাধের বিরুদ্ধে ঘনিষ্ট সহযোগিতা প্রদানে সম্মতির বিষয়টি পুন:রুল্লেখ করেন।
বিবৃতিতে বালাদেশের পক্ষ থেকে পাট পণ্যসহ ভারতে রফতানিকৃত বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক হ্রাসের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য ভারত কর্র্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। নেতৃদ্বয় ১২ টি সীমান্ত হাট প্রতিষ্ঠা ত্বরান্বিত করতে তাদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা ভারতের বাজারে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশে দেশটির আগ্রহের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ এর আগে ভারতের বাজারে বাংলাদেশী পন্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশের অনুমতি প্রদানের অনুরোধ জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, অপরদিকে ভারতের পক্ষ থেকে আখাউড়া আগরতলা বন্দর দিয়ে পণ্য প্রবেশে বন্দর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানায়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, অদূর ভবিষ্যতে নিয়মিত বাণিজ্যের অধিকাংশ পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহর করা হবে।
বিবৃতিতে দুই নেতাই এ বছরে এই প্রথম বারের মতো বাংলাদেশের এক বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য ভারতে রফতানি হওয়াকে স্বাগত জানান।
দুই প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ এবং অন্যান্য বহুজাতিক সংস্থায় ঘনিষ্টভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বিশেষকরে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে তাঁরা, উন্নত দেশগুলোকে ২০৩০-এর এজেন্ডা অনুসারে বাস্তবায়নের মাধ্যমগুলিতে তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
দুই দেশের জন্যই আঞ্চলিক এবং উপআঞ্চলিক সহযোগিতা অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র বলেও দুই নেতা একমত হন। এই লক্ষ্য অর্জনে সমস্ত সদস্য দেশের সম্মিলিত সমৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে একটি উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার কার্যকর বাহন হিসেবে বিমসটেকের কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করার বিষয়েও তারা সম্মত হন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং এই সফরের সময়সূচি কূটনৈতিক মাধ্যমে চূড়ান্ত করার বিষয়েও উভয়ে একমত হন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশের বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উভয় নেতাই সন্তোষ প্রকাশ করেন। কেননা, এই সম্পর্ক গভীর ঐতিহাসিক এবং ভ্রাতৃত্বপূর্ণ বন্ধনের ওপর প্রতিষ্ঠিত, যা সার্বভৌমত্ব, সমতা, আস্থা এবং অনুধাবনের ভিত্তিতে একটি সর্বাত্মক দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বকে প্রতিফলিত করে যা কৌশলগত অংশীদারিত্বকে ছাড়িয়ে যায়।
দুই প্রধানমন্ত্রীই প্রচলিত এবং অপ্রচলিত উভয় ক্ষেত্রেই পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন সুযোগকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেন এবং এই অপরিবর্তনীয় অংশীদারিত্ব যা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে শুরু হয়েছিল তা উত্তোরাধিকারকেও বাড়িয়ে তোলে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প বাস্তবায়নে ভারতের পূর্ণ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, উভয় দেশই দুই দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধিতে এটি সহজিকরণের ওপর গুরুত্ব প্রদান করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দেশের মধ্যকার ভ্রমণের জন্য দরকারী বিষয়গুলোকে সহজ করার ক্ষেত্রে অঙ্গীকার করায়, বিশেষ করে যে সমস্ত বাংলাদেশী ভারতে সড়ক বা রেলপথে ভ্রমণ করেন তাদের জন্য, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানান এবং পারষ্পরিক সহমর্মিতার চেতনায় বিদ্যমান স্থল বন্দরগুলোতে বাংলাদেশী ভ্রমণকারীদের জন্য সকল ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নিতেও আহ্বান জানান।
দুই নেতাই একমত হন যে, বৈধ কাগজ পত্রের ভিত্তিতে স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশীদের ভারতে প্রবেশ/বাহিরের ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিধি নিষেধগুলো এখনও বলবৎ রয়েছে সেগুলো পর্যায়ক্রমে দূর করা হবে। আখাউড়া (ত্রিপুরা) এবং ঘোজাডাঙ্গা (পশ্চিমবঙ্গ) থেকে তা শুরু হবে।
এলডিসিভুক্ত দেশগুলো থেকে গ্রাজুয়েশন প্রাপ্তিতে ভারত অভিনন্দন জানায় বাংলাদেশকে। এ প্রসঙ্গে উভয় পক্ষই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিস্তৃত অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি’র (সিইপিএ) সম্ভাবনা নিয়ে যৌথ সমীক্ষা চালুর কাজ দ্রুত করতে সম্মত হয়েছে।
উভয় পক্ষই স্বীকৃতি দিয়েছে যে আকাশ, জল, রেল, সড়কের মাধ্যমে যোগাযোগ বৃদ্ধি বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে এবং এর বাইরেও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য পারস্পরিক উপকারী সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
২০১৯ সালের আগস্টে ঢাকায় দুই দেশের পানি সম্পদ সচিবদের আলোচনায় উভয় নেতাই সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পরবর্তী সময়ে জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের পাশাপাশি গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি ১৯৯৬ অনুসারে বাংলাদেশের প্রাপ্য পানির সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাবিত গঙ্গা-পদ্মা ব্যারেজ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের শর্তাদি প্রণয়ন করা হয়েছে।
উভয় নেতা রেলওয়ে খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার অপরিসীম সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাঁরা আগস্ট ২০১৯ সালে দুই দেশের রেলপথ মন্ত্রীদের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনার বিষয়টিও সন্তুষ্টির সাথে উল্লেখ করেন।
উভয় নেতা জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এক ধাপ এগিয়ে উভয় প্রধানমন্ত্রীই মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাতায়াত প্রতি সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ বারে এবং বন্ধন এক্সপ্রেসের যাতায়াত প্রতি সপ্তাহে ১ থেকে ২ বারে বৃদ্ধিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মোদী বাংলাদেশে রেলওয়ের রোলিং স্টক সরবরাহের জন্য এবং বাংলাদেশে সৈয়দপুর ওয়ার্কশপের আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগুলোর সমাপ্তি ত্বরান্বিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
শেখ হাসিনা অনুদানের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি ব্রডগেজ এবং মিটার গেজ লোকোমোটিভ সরবরাহ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানান। এটি উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে সহায়তা করবে বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
দুই নেতা আগামীতে দুটি বর্ষপূর্তি উদযাপনেও পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। যার একটি হচ্ছে- ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং ভারত বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন।
উভয় প্রধানমন্ত্রীই ২০২০ সালে তাঁর জন্ম শতবর্ষ উদযাপনের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ফিচার ফিল্মের সহ-প্রযোজনার জন্য এনএফডিসি এবং বিএফডিসির মধ্যে চুক্তির কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনাও প্রদান করেন।