সর্বশেষঃ
বনানীতে ৩ রেস্তোঁরাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, ভুয়া ঠিকানায় ট্রেড লাইসেন্স উন্নয়নকাজে সমন্বয়হীনতায় সরকারি অর্থের অপচয় গৃহায়নের প্রকৌশলী আলম ঘুষের দেড় লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার বছিলায় সরকারি খালে নির্মাণাধীন  ৬টি বড় স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র ডিএসসিসির ১ ইঞ্চি জমিও আর কেউ অবৈধভাবে দখলে রাখতে পারবে না মেয়র তাপস  RAJUK Employee Management System (REMS)-বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ডেঙ্গু মোকাবিলা করা বড় চ্যালেঞ্জ : মেয়র আতিকুল ইসলাম শেখ হাসিনাকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ও জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন শিশু আয়ানের মৃত্যু, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রিপোর্ট হাস্যকর : হাইকোর্ট ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০৬ অপরাহ্ন

দুর্নীতির অভিযোগে রেলের ২৯ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ

দূরবীণ নিউজ ডেস্ক:
পূর্বাঞ্চল রেলের ২৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করোনা সুরক্ষাসামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। এদের মধ্যে প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের (সিসিএস) ১৭ এবং সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (সিওএস) দফতরের ১২ কর্মকর্তা আছেন।

জানা যায়, পূর্বাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক সরদার শাহাদাত আলী, প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক আনোয়ারুল ইসলাম, এসপিও নজরুল আজাদ, অতিরিক্ত সিওপিএস পূর্ব (বর্তমানে সিপিও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে) সুজিত কুমার বিশ্বাস, এসিওএস সাহেব উদ্দিন, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের চিকিৎসক ডা. ফাতেমা আক্তার, ডা. এমতিয়াজ, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান জহিরুল ইসলাম, সিনিয়র সংস্থাপন কর্মকর্তা নজরুল আজাদ, ডিসিওএস মারুফ, কর্মকর্তা খায়রুল করিম, এমদাদুর রহমান, জাহিদ হাসান, আনোয়ারুল ইসলামসহ ২৯ কর্মকর্তার নাম রয়েছে। দীর্ঘ ৩ মাস তদন্ত শেষে কমিটির সদস্যরা এ রিপোর্ট জমা দেন।

দুই দফতরের এ ২৯ জন ৪ কোটি ৬৩ লাখ ১ হাজার ৬১৮ টাকার সুরক্ষাসামগ্রী কেনার সঙ্গে জড়িত। এরা বাজার দরের চেয়ে অনেক বেশি দরে পণ্যগুলো কিনেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

করোনা সুরক্ষাসামগ্রী কেনায় অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ২৫ আগস্ট রেলওয়ের যুগ্মসচিব ফয়জুর রহমান ফারুকীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

৬ সেপ্টেম্বর রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা থাকলেও কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ৪ অক্টোবর, পরে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।

সর্বশেষ ৫ নভেম্বর রেলপথ সচিব মো. সেলিম রেজার কাছে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রকৃত মূল্যর চেয়ে বেশি দরে কেনাকাটার প্রমাণ পেয়েছে কমিটি। বিষয়টি তারা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন।

এপ্রিল-মেজুড়ে কেনাকাটায় ৭৭৫ থেকে সর্বোচ্চ ১৫শ’ টাকার থার্মোমিটার ১২ হাজার ৩০০ টাকা, ৮ টাকার গ্লাভস ৩২ টাকায়, ১০ টাকার মিনি সাবান ২৫ টাকায়, ১২০ টাকা কেজির ডিটারজেন্ট ১৮৮ টাকায়, ১২০ টাকা কেজির ব্লিচিং পাউডার ১৯৩ টাকায়, ১৩০ টাকার হেক্সাসল ৩৮৪ টাকায়, ১২০ টাকার প্লাস্টিক চশমা ৩৯৭ টাকায়, ১৫০ থেকে ৪০০ টাকার চীনের তৈরি কেএন-৯৫ মাস্ক ৭২৭ টাকায় এবং ট্রলি ও ফ্লুমিটারসহ প্রতিটি অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনা হয় ৪১ হাজার টাকায়।

কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে অবাধ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হতো এবং প্রতিযোগিতামূলক দর পাওয়া যেত। এক্ষেত্রে তা না করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করা হয়েছে।

এছাড়া সুপারিশে বলা হয়, সিসিএস দফতর ও সিওএস দফতরের ২৯ কর্মকর্তা ক্রয় কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যেমন সত্য উচ্চমূল্যে কেনাকাটার বিষয়টিও প্রমাণিত। কমিটি ২৯ কর্মকর্তাকে দায়ী করে ভবিষ্যতে তাদের এ ধরনের কেনাকাটার কাজ না দেয়ার সুপারিশ করেছে।

এ ২৯ কর্মকর্তার মধ্যে রেলওয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিংস্টক) মঞ্জুর উল আলম চৌধুরী এবং পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক রুহুল কাদের আজাদের নাম আছে।

প্রায় ১৭শ’ পৃষ্ঠার এ রিপোর্টে উঠে আসে রেলের কেনাকাটায় ৫টি জীবাণুনাশক টানেল ৬২ লাখ টাকায় কেনা হয়। মডার্ন প্রাইম কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান দুটি স্ক্যানার চুক্তির আগেই সরবরাহ করে।

তদন্তে উঠে আসে, করোনাসামগ্রীর একই পণ্য ভিন্ন ভিন্ন দামে কেনা হয়েছে। কেএন-৯৫ মাস্ক এক জায়গায় কেনা হয়েছে ৫৮৬ টাকায়, অন্য জায়গায় কেনা হয়েছে ৭২৭ টাকায়।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক যুগ্মসচিব ফয়জুর রহমান ফারুকী জানান, তারা দীর্ঘ সময় নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করেছেন।

নির্দিষ্ট সুপারিশসহ ৫ নভেম্বর রেলপথ সচিবের কাছে রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেখবেন। এছাড়া রিপোর্ট নিয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক সরদার শাহাদাত আলী গত রোববার বিকালে যুগান্তরকে জানান, কমিটির তদন্তে তার নাম এসেছে তা জানতে পেরেছেন।

কোনো কেনাকাটায় তিনি সম্পৃক্ত নন জানিয়ে বলেন, রেলওয়ের মহাপরিচালকের নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের লিখিত পত্র দিয়েছেন তিনি।

এতে উল্লেখ করেন, কেনাকাটায় যাতে অনিময়-দুর্নীতি না হয়। স্বচ্ছতার মধ্যে যেন কাজটি করা হয়। যারা এতে সম্পৃক্ত তাদের সঙ্গে আমাদের (যারা কেনাকাটায় সম্পৃক্ত নন) নাম আসা দুঃখজনক।

আমরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছি। প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম জানান, তিনি এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই উঠে না। তদন্ত রিপোর্টে তাদের নাম এলে হতবাক হওয়া ছাড়া কিছুই বলার নেই তার।

পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক রুহুল কাদের আজাদ জানান, তিনি কেনাকাটা করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ ও অনুমোদন নিয়ে সব করেছেন। তদন্ত রিপোর্টের বিষয়ে কোনো কিছু জানেন না।

তবে শুনেছেন রিপোর্ট জমা হয়েছে। এতে তার বিরুদ্ধে কি বলা হয়েছে- তা তিনি এখনও জানতে পারেননি। রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিংস্টক) মঞ্জুর উল আলম চৌধুরী জানান, তদন্ত রিপোর্টে কি এসেছে তা তিনি জানেন না।

কেউ তাকে জানায়নি। তদন্ত কি এসেছে তা যদি তাকে জানানো হয় তাহলেই এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন।

এ বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন গণমাধ্যমকে জানান, তদন্ত রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। করোনাসামগ্রী কেনাকাটায় অনিয়ম, দুর্নীতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির যে বক্তব্য, সুপারিশ তা পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যতজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের কথা বলা হয়েছে, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। রেলে দুর্নীতি-অনিয়ম বিন্দুমাত্র সহ্য করা হবে না। প্রয়োজনে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।

দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। ইতোমধ্যে একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।#সূত্র- দৈনিক যুগান্তর।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০৮ অপরাহ্ণ
  • ৪:২৮ অপরাহ্ণ
  • ৬:১৫ অপরাহ্ণ
  • ৭:২৮ অপরাহ্ণ
  • ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12