দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
২০০৭ সালে দুদকের দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন বিচারিক বিশেষ জজ আদালত।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর ) মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানির দিন ধার্য থাকলেও আসামি বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হননি। আর এ বিষয়ে বেগম জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন জিয়া সময় চেয়ে আবেদন করেন।
ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী তারিখ ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ভাবে বিশেষ জজ আদালত-৯ স্থাপন করা হয়েছে। আর এ আদালতেই বেগম খালেদার জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের নাইকো দুর্নীতির মামলা বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি করেন।
২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। #