দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
এখন পর্যন্ত রাজধানীর ১ হাজার ২২৩টি বাড়ি লকডাউন। করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে রাজধানীতে লকডাউন (অবরুদ্ধ) হওয়া বাড়ির সংখ্যাও বাড়ছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি কোথাও শনাক্ত হলে বা কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে সংক্রমণ প্রতিরোধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছে সরকারি স্টাফ কোয়ার্টার, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের আবাসস্থল, হাসপাতাল, মন্দির এবং বিভিন্ন অলিগলি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর ৪১৩টি এলাকার ১ হাজার ২২৩টি বাড়ি লকডাউন ছিল। আর রাজধানীর ৫০টি থানা এলাকার মধ্যে ৪৮টিতেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
পুলিশ গণমাধ্যমকে বলছে, লকডাউন হওয়া বাড়িগুলোর মধ্যে ৮৫১টির অবস্থান পুরান ঢাকায়। ওয়ারী থানা এলাকায়ই লকডাউন হওয়া বাড়ির সংখ্যা ৪৫৪।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার শাহ্ ইফতেখারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, লকডাউন পুরোপুরি নিশ্চিত করা সম্ভব না হওয়ার কারণে সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। মানুষের সতর্কতা ও সহযোগিতা ছাড়া লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর সম্ভব নয়।
পুলিশ গণমাধ্যমকে জানায়, লকডাউন হওয়া বাড়ির সংখ্যা তুলনামূলক কম হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, রমনা, কলাবাগান ও ধানমন্ডিতে। মতিঝিল, শাহজাহানপুর, পল্টন, মুগদা, সবুজবাগ ও খিলগাঁওয়ে লকডাউনে ৮০টি বাড়ি।
তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, শেরেবাংলা নগর, আদাবর ও মোহাম্মদপুরে লকডাউন ৯১টি বাড়ি। মিরপুর, রূপনগর, দারুস সালাম, কাফরুল ও পল্লবীতে ৬৪টি বাড়ি লকডাউন। গুলশান, ভাটারা, বাড্ডা ও খিলক্ষেতে ২২টি এবং উত্তরায় ৮৭টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সংক্রমণ প্রতিরোধে তাঁরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সংক্রমিত হলেও মানুষকে ঘরে রাখার সব পদক্ষেপই নেওয়া হচ্ছে। #