দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
আগামী ৫ মে পর্যন্ত করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টসহ অধঃস্তন সবআদালত সমূহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
রোববার (২৬ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের অধিকাংশ বিচারপতি অংশগ্রহণ করেন।
সভায় একটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট রুলস সংশোধন করে ভার্চুয়াল আদালত স্থাপনের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করতে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানাগেছে।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল অপার এক বিজ্ঞপ্তিতে সীমিত আকারে কোড খোলা রাখার সিদ্ধান্ত ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে রোববার ফুলকোর্ট সভায় আহব্বান করা হয়।
গত ২৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে চেম্বার কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগে একটি বেঞ্চ খোলা রেখে অতীব জরুরি বিষয়গুলো নিষ্পত্তিতে সিদ্ধান্ত নেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
এই সিদ্ধান্তের পর বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এখনই আদালত খোলা না রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী।
অন্যদিকে স্বল্প পরিসরে আদালত খোলার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে প্রধান বিচারপতিকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ৩০১ জন আইনজীবী পক্ষে সাধারন সাধারন আইনজীবাদের অধিকার সংরক্ষন পরিষদ। রোববার সকাল ১১টায় সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী এস এম জুলফিকার আলী জুনু সুপ্রিমকোর্টের ইমেইলের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতিকে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আর দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচার কার্যক্রম স্থগিত রাখতে আবেদন করেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।
তবে শারীরিকভাবে উপস্থিতি ছাড়া জরুরি বিষয়সমূহ শুনানির জন্য সহজগম্য ভার্চুয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে মতামত দিয়েছে সংগঠনটি। শনিবার রাতে আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতিকে এ আবেদন করা হয়। # কাশেম