দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
ত্রাণের দাবিতে কর্মহীন লোকজন রংপুর নগরের কলেজ রোডের ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকার তেলের ড্রাম ফেলে সড়ক অবরোধ করেন। সোমবার (২০ এপ্রিল ) রংপুরে ত্রাণের দাবিতে নগরের কলেজ রোডের পুরোনো ট্রাকস্ট্যান্ড, চারতলা মোড়, নজিরের হাট মুন্সির মোড় ও পীরগাছার কদমতলী এলাকায় শত শত মানুষ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি লোকজন গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নগরের কলেজ রোড এলাকায় পুরোনো ট্রাকস্ট্যান্ড ও চারতলা মোড় এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ত্রাণসুবিধাবঞ্চিত লোকজন।
তাঁদের অভিযোগ, ত্রাণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিলেও এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ দেয়নি। বরং পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে বলে এক মাসের বেশি সময় অতিক্রম করেছে।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি লোকজন গণমাধ্যমকে জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এক মাসের অধিক সময় ধরে মানুষজন কর্মহীন হয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে না-খেয়ে দিনযাপন করছেন। কিন্তু বিভিন্ন স্থানে ত্রাণসহায়তা দেওয়া হলেও অনেক এলাকার কর্মহীন অভাবী মানুষ এখনো ত্রাণসহায়তা পাননি।
প্রত্যক্ষদর্শী গণমাধ্যমকে জানায়, নগরের তিনটি এলাকা ও পীরগাছা উপজেলার একটি স্থানে বিক্ষোভের খবর পেয়ে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় পুলিশ নগরের নজিরেরহাট মুন্সির মোড় এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালায়। এ সময় দ্রুত ত্রাণ তৎপরতার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ থামিয়ে অসহায় পরিবারগুলো বাড়ি ফিরে যান।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিক্ষোভের খবর জানার পরপরই ঘটনাস্থল নজিরের হাট এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়। তাঁদের বোঝানো হয় সব এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা পর্যায়ক্রমে চলছে। এখানে যত দ্রুত সম্ভব ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে। এমন আশ্বাসের পর বিক্ষোভকারীরা সড়ক থেকে বাড়ি চলে যান।
সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দুপুর একটার দিকে ঘটনাস্থলে এসে খাদ্য সরবরাহের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন। # কাশেম