দিদারুল আলম দিদার , দূরবীণ নিউজ :
বাংলাদেশ মহিলা সমিতির যুগ্ম সম্পাদক তরুণ আইনজীবী ফারহানা রেজা পিউলী বলেছেন, করোনাভাইরাস জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে অসহায় মানুষের পাশে সমাজের সব বিত্তশালীদের এগিয়ে আসা উচিৎ।
তিনি বলেন, করোনা নামক এ বৈশ্বিক মহামারির দাপট বিশ্বের অনেক দেশে যেন কিছুতেই কমছে না। বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগ কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। আবার কিছু কিছু দেশ এর প্রতিরোধে সফলও হয়েছে।
ফারহানা রেজা বলেন, দেশে করোনাভাইরাস জনিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সকলকেই সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যেন করোনাভাইরাস জনিত সংক্রমণ কমিউনিটি ট্রান্সমিশন না ঘটে। তিনি বলেন, মানুষের মাঝে সচেতনতা মূলক প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিশ্চিতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ।
এডভোকেট ফারহানা রেজা বলেন, যারা আজ ঘরে, তারাই করোনা মোকাবেলা যুদ্ধের বীর। ঘরে অবস্থান নিয়েই নিশ্চিত করতে হবে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং ঠেকাতে হবে করোনাভাইরাস জনিত কমিউনিটি ট্রান্সমিশন।
ফারহানা রেজা বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ নির্দেশনা মানতে গিয়ে দেশের নিন্ম আয়ের মানুষ এখন অসহায়ত্বের মূখোমূখি। সরকার এজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের পাশাপাশি সমাজের সব বিত্তশালীদের যার যার অবস্থান থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রভাবে বিশ্বজুড়েই মানবতা কাঁদছে। এই কঠিন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে মানুষকেই। এ মহামারী মোকাবিলা করতে হবে আর্তমানবতাকে জাগিয়ে তুলেই।
তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। চলমান এ দুঃসময়ে বীরের ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছেন কিছু পেশার মানুষ।
তরুণ এ আইনজীবী পরিবেশ কর্মী ও বাংলাদেশ মহিলা সমিতির যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট ফারহানা রেজা পিউলীও নিজ জেলা নড়াইলে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ছুটে গেছেন। নিজ উদ্যাগে অসহায় অনেক পরিবারকে খাদ্য সামগ্রি দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সমাজের সব বিত্তশালীদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান ফারহানা রেজা।
তিনি শত পরিবারে বাড়ী বাড়ী গিয়ে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাড়ী বাড়ী গিয়ে অসহায় গরীব মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দিয়েছেন খাদ্যসামগ্রী। এ সময় তিনি কাউকে কোনো ছবি তুলতে দেননি। তিনি বলেন, কোনো আত্মপ্রচার নয় মানুষের পাশে মানুষকেই দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, দেশের এই সংকটাপূর্ণ আবস্থায় মানুষের পাশে থাকার এটি তার ক্ষুদ্র প্রয়াস।
উল্লেখ্য সম্প্রতি এডভোকেট ফারহানা রেজা দক্ষিণ এশিয়া ইয়্যুথ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড এবং ইয়্যুথ আইকন অ্যাওয়ার্ড সম্মাননা পেয়েছেন।
দেশের তরুণ আইনজীবী ফারহানা রেজা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুবশক্তি ও সামাজিক কল্যাণমূলক কাজে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত আসিয়ান ইয়্যুথ লিডারশিপ সামিটে এ সম্মাননা লাভ করেন।
এডভোকেট ফারহানা রেজা মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার চিফ প্রসিকিউটর সিনিয়র এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান ও অধ্যাপিকা মমতাজ বেগমের সুযোগ্যা কন্যা। এডভোকেট ফারহানা রেজাও ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য ছিলেন।
এডভোকেট ফারহানা রেজার পিতা এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বর্তমান মেয়াদসহ মোট নয় বার নির্বাচিত। এটা আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বার কাউন্সিলে একটি ইতিহাস। সৈয়দ রেজাউর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য। # কাশেম