দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
করোনার ভয়ে পালিয়ে শত শত মানুষ নারায়ণগঞ্জ থেকে ট্রলার ও কার্গো রিজার্ভ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চল পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে ওই দুই জেলার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এরা পটুয়াখালী সদর, দুমকি, গলাচিপা, দশমিনা, রাঙ্গাবালী ও বরগুনার আমতলী উপজেলায় আসার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে গত ৮ এপ্রিল বরগুনার আমতলী উপজেলায় নারায়ণগঞ্জ থেকে নৌপথে আসা নারী ও শিশুসহ ১০৯ জনকে আটক করেছেন থানা পুলিশ। ওই দিন রাত ১১টার দিকে তাদের আমতলী উপজেলার গাজীপুর নামক স্থানের খাল থেকে বালুর কার্গো ট্রলারসহ তাদের আটক করা হয়। আটকদেরকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
৯ এপ্রিল বিকেলে দুমকি উপজেলার শ্রীরামপু খালের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে একটি ট্রলারে আসা অর্ধশত লোককে তীরে উঠতে দেয়নি এলাকাবাসী। গলাচিপার চর কাজল ও চর বিশ্বাসে নারায়ণগঞ্জ থেকে তরমুজের বোটে লোক আসার খবর পাওয়া গেছে। রাঙ্গাবালী উপজেলার বড় বাসদিয়া ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে আসা দুই ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করা দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার সংবাদকর্মী হাফিজুর রহমান।
নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় ওই এলাকা পুরো লকডাউন করেছে প্রশাসন। এরপরই তারা নারায়ণগঞ্জ থেকে গোপনে পটুয়াখালী ও বরগুনায় চলে আসে।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ থেকে এত মানুষ একসাথে এলাকায় আসায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। করোনভাইরাসের কারণে সারা দেশের সাথে সড়ক ও নৌ-যোগাযোগ বন্ধ থাকলেও নারায়ণগঞ্জ থেকে ট্রলার, নৌকা বা মালবাহী কার্গোতে করে দলে দলে পটুয়াখালীতে ফিরছেন ঢাকায় কর্মরত পোশাক শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন।
তবে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো: মতিউল ইসলাম চৌধুরী দাবি করেন, এসব নৌযানকে পটুয়াখালী জেলার কোথাও ভিড়তে দেয়া হচ্ছে না। যেসব এলাকায় এসব নৌযান ভিড়তে পারে, সেসব স্থানে পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া কোথাও নৌযানে করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে এমন তথ্য থাকলে তা জেলা প্রশাসন কিংবা উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।
পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমকে জানান, গত ৯ এপ্রিল দুপুরে পটুযাখালীর দুমকিতে কারোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তি মারা গেছেন। ৩২ বছরের ওই ব্যক্তি নারায়গঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। গত ৫ এপ্রিল তিনি দুমকিতে নিজ বাড়িতে আসেন। ৭ এপ্রিল তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আইইডিসিআরকে জানানো হয়। এরপর দ্রুত তার নমুনা পরীক্ষা করলে রিপোর্টে কোভিড-১৯ পজেটিভ আসে। # কাশেম