দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে করোনাভাইরাসের রোগী সন্দেহে বিনা চিকিৎসায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমন মারা যায়। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আক্ষেপ করে বলেছেন, এটা সত্যিই খুব দুঃখজনক।
গণমঙ্গলবার (৭ এপ্রিল ) প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাতের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের একজন ছাত্র সে যেভাবেই রোগে আক্রান্ত হয় হোউক।
কিন্তু সে যখন হাসপাতালে চিকিৎসা করতে যায়, এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরে বেড়ায় কোনো ডাক্তার পায়নি চিকিৎসা করতে। এটা সত্যিই খুব কষ্টকর, সত্যিই খুব দুঃখজনক ওই ডাক্তাররা কেন চিকিৎসা করবে না।’
‘তবে আমি বলব যে আমাদের প্রত্যেকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমাদের সকলেই খুব আন্তরিকভাবে কাজ করেছে, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ১২৩ জন করোনা রোগী পাওয়া গেছে। মৃত্যুর সংখ্যা ১২। বেশিরভাগই বয়স্ক। অধিকাংশই যারা মারা গেছেন তাদের ডায়বেটিকস ছিল, হার্টের সমস্যা ছিল, শারীরিকভাবে দুর্বল ছিল তারা।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের রোগী সন্দেহে রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতাল চিকিৎসা না দেয়ায় সোমবার খাগড়াছড়িতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আইইআর এর শিক্ষার্থী সুমন চাকমা রাত সাড়ে ৮টায় মারা যান। বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম শিক্ষার্থী পরিষদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, সুমন ফুসফুসের জটিলতায় ভুগছিল এবং বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছে।
১১ মার্চ অসুস্থ বোধ করায় তার বন্ধু তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল এবং জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ‘তিনি কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত সন্দেহে চার হাসপাতালের সবগুলোই তাকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।’
পরে ১৮ মার্চ বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম শিক্ষার্থী পরিষদের সদস্য সুমনকে ঢাকা থেকে গ্রামে নেয়া হয়। ঢাবি প্রক্টর একেএম গোলাম রাব্বানী জানান, সুমন ক্যান্সারে ভুগছিল এবং সোমবার রাতে মারা গেছে। # সূত্র ইউএনবি।