দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ব্যক্তি, সংগঠন, সমাজ ও রাষ্ট্রকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আর এই মহামারি করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন ও জানাজায় বাধা দেয়া অমানবিক ও অসহিষ্ণুতা বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাপ।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, সম্প্রীীত দেখা যাচ্ছে করোনায় মৃত কিংবা করোনা সন্দেহে মৃত ব্যক্তির দাফনে বাধা দেয়া হচ্ছে। একশ্রেনির রাজনৈতিক কর্মীরাও একাজে লিপ্ত রয়েছেন। যা মোটেও মানবিক আচরন হতে পারে না। এ ধরনের কাজ সমাজকে অমানবিক সমাজের রুপান্তরিত করবে, যা থেকে সকলকেই বিরত থাকা উচিত।
তারা বলেন, হঠাৎ নেমে আসা প্রকৃতির অভিশাপে বড় বেশি কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে আমাদের। মহাশক্তিধর উন্নত-আধুনিক, ধনাঢ্য রাষ্ট্রগুলো মৃত্যুর মিছিল, লাশের পাহাড়, আর্তনাদ অশ্রুতে আজ ধ্বংসস্তুপরে উপর, অসহায় বিপন্ন।
গোটা মানবজাতি ও পৃথিবী আজ লড়াইয়ের ময়দানে বড় অসহায়-দিশেহারা। এমন আতঙ্ক শত বছরেও আসেনি মানবজাতির জীবনে। এ লড়াইয়ে আজ আমরাও অবতীর্ণ।
ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীকে ওই এলাকার লোকজন বিতাড়িত করতে চাইছে, সব হাসপাতাল এবং ডাক্তাররা আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে রোগির কাছেও আসতে চাইছেন না। আক্রান্ত রোগী মত্যুর পর তার কাফন এবং দাফনে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে বিধায় ওই পরিবার রোগের কথা গোপন করে সকলকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে দাফন করছে। ফলে জানা যাচ্ছে না সঠিক কি কারণে রোগীর মৃত্যু হল।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, অনেকে মৃত্যুর পর কাফন এবং দাফন নিয়ে আহাজারি করছেন। মৃত্যুটাকেই যদি মেনে নিতে পারি, কাফন-দাফন আর জানাজা নিয়ে অহেতুক বিচলিত হওয়া কেন ? এই ভয়াবহ আক্রমণে আমি বা আপনি কে আছি বা কে নেই কেউ জানি না। কারও জানা নেই। করোনা আক্রান্ত রোগী ও তাদের পরিবারকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত যেনো না করি।
তারা বলেন, সকলকে মনে রাকা উচিত যে, কাফনে জড়ানো মৃতব্যক্তি শ্বাস নেয় না, তার সিক্রেশনও কোথাও থাকে না। দাফন করে দিলে মৃত ব্যক্তির শরীরের সকল ভাইরাসও মরে যায়। তাদের প্রতি যেনো সদয় হই। তাদের সীমাবদ্ধতা কষ্টটাকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করি, পাশে থাকি, নিজেকে সুরক্ষিত রেখে যে যেভাবে পারি চেষ্টা করি সাহায্য করার। পাশে দাঁড়াবার। সময় এখন দুঃসময়, কারও হাত নেই এই বিপদে। পাশে দাঁড়ানোই মানবতা। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।