দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
তালেবানদের হামলায় আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের একটি নিরাপত্তা ঘাঁটিতে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার (২০ মার্চ) ভোরে জাবুল প্রদেশের ঘাঁটিতে ওই হামলায় চালানো হয়। তবে এখনও হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। খবর দ্যা নিউইয়র্ক টাইমসের।
তালেবানদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের গত ২৯ ফেব্রুয়ারি করা শান্তিচুক্তির পর এটাই তালেবানদের প্রথম বড় হামলা। জাবুল প্রদেশের রাজধানী কালাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ সদর দফতর লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।
প্রদেশের গভর্নর রাহমাতুল্লাহ ইয়ার্মাল বলেন, কিছু অনুপ্রবেশকারী ঘুমন্ত সৈনিকদের ওপর হামলা চালিয়ে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। জাবুল প্রদেশের প্রাদেশিক পরিষদ প্রধান আত জান হক বায়ান বলেন, ‘হামলায় আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর ১৪ সদস্য এবং পুলিশ বাহিনীর ১০ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন।
এ ছাড়া চারজন নিখোঁজ রয়েছে। এই হামলার সঙ্গে তালেবান যোদ্ধাদের যোগসূত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে গভর্নর রাহামতুল্লাহ ইয়ার্মাল বলেন, হামলাকারীরা সেনাবাহিনীর দুটি হামভি যানে হামলা করে পালিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে অস্ত্র ও গোলাবারুদ ভর্তি একটি পিকআপও ছিল।
আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসাদুল্লাহ খালিদ করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কাজের সুবিধার্থে তালেবানদের অস্ত্রবিরতি চুক্তির আহ্বান জানানোর একদিন পর ওই হামলা চালানো হলো।
তার মতে, আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর তালেবানদের বিরুদ্ধে আরো আক্রমণাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পরও তারা একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
তালেবান ও আফগান সরকার প্রস্তাবিত বন্দি বিনিময় নিয়ে বিরতিহীন আলোচনা করে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান চুক্তি অনুসারে পাঁচ হাজার তালেবান বন্দি মুক্তি দেয়ার কথা।
তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি মাত্র ১,৫০০ বন্দি মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন। বাকি সাড়ে তিন হাজার বন্দি আলোচনা শুরুর পর মুক্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন।
তালেবানরা সরকারের ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং সরকার চুক্তি মোতাবেক বন্দি মুক্তিও শুরু করেনি। # কাশেম