দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই ঢাকা-১০ শূন্য আসনের উপনির্বাচনে রাজধানীর ধানমণ্ডি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে দেড় ঘণ্টায় মাত্র ১টি ভোট পড়েছে। এই উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থীই ভোট দিতে পারেননি! এ আসনে ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ২৭৫ জন, ভোটকেন্দ্র ১১৭টি ও ভোটকক্ষ ৭৭৬টি।
শনিবার (২১ মার্চ) সকাল ৯টায় ভোট শুরু হলেও কেন্দ্রেগুলোতে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। এই কেন্দ্রের পোলিং অফিসার কিশোয়ার সুলতানা গণমাধ্যমকে জানান, ‘ভোটার নেই, অপেক্ষা করছি।’ এছাড়া ধানমণ্ডির কাকলী উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে প্রথম আধা ঘণ্টায় ১০টি ভোটও পড়েনি।কাকলী উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ ও রায়েরবাজারে প্রগতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে কয়েকজন ভোটার আছেন, তারাও দলীয় লোকজনই। নৌকা প্রতীকের এজেন্টের উপস্থিতি বেশি। এই দুই কেন্দ্রে ধানের শীষের দুজন এজেন্ট দেখা গেছে।
ঢাকা-১০ আসন ছাড়াও গাইবান্ধা-৩ এবং বাগেরহাট-৪ আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। কোনো বিরতি ছাড়াই সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট চলবে।
নির্বাচন কমিশন ঢাকা-১০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করছে। অপর দুই আসনে ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত সিটি নির্বাচনে অংশ নিতে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করায় ঢাকা-১০ আসনটি গত ২৯ ডিসেম্বর শূন্য ঘোষণা করা হয়।
রাজধানীর ধানমণ্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান, শেরেবাংলা ও লালবাগ থানা এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন।
প্রার্থী ৬ জন হলেন- আওয়ামী লীগের শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিএনপির শেখ রবিউল আলম, জাতীয় পার্টির হাজী মো. শাহজাহান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের কাজী মুহাম্মদ আবদুর রহিম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিজানুর রহমান।
ইভিএমে ভোট দিতে পারলেন না নৌকার প্রার্থী শফিউল :
বারবার চেষ্টা করেও ভোট দিতে পারেননি আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল ইসলাম। আঙুলের ছাপ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর না মেলায় ভোট দিতে পারেননি তিনি।
ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল ইসলাম । তার আঙ্গুরে ছাপ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর না মেলায় ভোট দিতে পারেননি। তিনি রাজধানীর উত্তরার ভোটার। মাইগ্রেট করে এ আসনের ভোটার হয়েছিলেন।
শফিউল ইসলাম শনিবার সকাল ৯টা ৫৩ মিনিটে ভোট দিতে আসেন রাজধানীর কলাবাগান লেক সার্কাস স্কুল ভোটকেন্দ্রে। এ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হচ্ছে। তিনি পুরুষ ভোটকেন্দ্রের ৬ নম্বর বুথে ভোট দিতে যান।
কিন্তু আঙুলের ছাপ না মেলায় তিনি ভোট দিতে পারেননি। তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরও মেলেনি। সার্ভারেও নৌকার প্রার্থীর নাম নেই। ভোট দেওয়ার জন্য ৪৫ মিনিট অপেক্ষা শেষে চলে যান ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম।# কাশেম