দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
বগুড়ার শেরপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি বাবদ বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার ( ১১ মার্চ) গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
তিনি জানান, দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে হটলাইন- ১০৬) অভিযোগ আসে, বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখক এবং অন্যান্যদের দ্বারা গঠিত একটি সমিতির নিকট এলাকাবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছে।
ফলে সেবা গ্রহণ করতে আসা জনসাধারণ ভোগান্তির শিকার এবং বাড়তি অর্থব্যয় করতে বাধ্য হচ্ছেন। তৎপ্রেক্ষিতে বগুড়া জেলা কার্যাল থেকে দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচানা করেন। অভিযানকালে টিম জনসাধারণ ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়।
একজন দলিল লেখক নির্ধারিত ফি ১ হাজার টাকার পরিবর্তে ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন এমন প্রমাণ পায় অভিযান পরিচালনাকারী টিম। তাৎক্ষণিকভাবে দুদক টিমের উপস্থিতিতে তিনি বাড়তি ৯ হাজার টাকা ফেরত প্রদান করেন।
টিম সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সেবার মান সহজীকরণ এবং পরিবেশের সার্বিক উন্নয়নে সাব রেজিস্ট্রার, শেরপুর, বগুড়া-কে পরামর্শ প্রদান করে। তিনি অবিলম্বে সেবা প্রদান সহজীকরণ এবং জনদুর্ভোগ রোধে দৃষ্টিগ্রাহ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করেন। উপস্থিত জনসাধারণ দুদকের এ অভিযানকে স্বাগত জানায়।
দুদক কর্মকর্তা আরো জানান, মাউশি খুলনা অঞ্চলের পরিচালক (সেসিপ) ও তাঁর সিন্ডিকেট সদস্য কর্তৃক প্রশিক্ষণের টাকা আত্মসাত, দুর্নীতি, অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের লক্ষ্যে পরিদর্শন বাণিজ্যের অভিযোগে পরিচালক, সেসিপ প্রকল্প, খুলনা অঞ্চল এর দফতরে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক।
খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: শাওন মিয়ার নেতৃত্বে আজ এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে কয়েকটি অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে পূর্নাঙ্গ অনুসন্ধানের সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এছাড়াও দুদক হটলাইনে আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান কার্যালয়, পটুয়াখালী জেলা কার্যালয় ও ফরিদপুর জেলা কার্যালয় হতে ৩টি পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়েছে। # কাশেম