দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
সৌদি সরকার করোনাভাইরাসের কারণে ওমরাহ যাত্রী ও পর্যটকদের প্রবেশ সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে । সৌদি সরকারের আকস্মিক এ ঘোষণার ফলে বাংলাদেশের প্রায় ১০ হাজার ওমরাহ যাত্রী ওমরাহ পালনে যেতে পারছেন না।
অথচ যাত্রীরা ইতোমধ্যে ভিসা, টিকিটসহ সব ধরনের টাকা খরচ করেছে। চরম অনিশ্চয়তায় মুখে পড়েছে ওমরাহ হজের যাত্রীরা। ফলে বাংলাদেশেরই প্রায় ৫০ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা। শুধু তাই নয়, ১০ হাজার ওমরাহ যাত্রী ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে আরো যারা যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, এখন তারাও বিপাকে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে এ পর্যন্ত দশ হাজার ওমরাহ যাত্রীদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিমান বন্দর ও ঢাকা বিমান বন্দরে আটকা পড়েছে প্রায় সাতশ যাত্রী। কিছু কিছু শিডিউল ফ্লাইট ওমরাহ যাত্রীদের রেখেই সৌদি আরবে চলে গেছে।
এসব যাত্রী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এজেন্সি মালিকরাও। তবুও ওমরাহ যাত্রীদের সৌদি আরব পাঠানো যায় কিনা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করছেন তারা।
হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠনের (হাব) সভাপতি এম তসলিম হোসাইন শাহাদাত গণমাধ্যমকে বলেন, আজকে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পৃথিবীর সব দেশের ওমরাহ ভিসা ইস্যু ও ভিজিটর ভিসা স্থগিত করেছে। তারপর থেকে ওমরাহ যাত্রী পাঠানো যাচ্ছে না। সকালে সৌদি দূতবাসের সঙ্গে কথা বলেছি। যাদের ভিসা আছে তারা যেতে পারবেন কিনা বিষয়টি অস্পষ্ট।
তিনি আরো বলেন, দশ হাজার ওমরাহ যাত্রীর সবার ভিসা হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে পাঁচ হাজার যাত্রীর টিকিট কাটা হয়ে গেছে। ওমরাহ করার জন্য সৌদিতে থাকার হোটেলসহ অর্থ খরচ করে সব প্রয়োজনীয় প্রাথমিক কাজও শেষ করা হয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা আর সেদেশে ঢুকতে পারছেন না।
এজেন্সি মালিকরা জানায়, ভিসার জন্য সৌদি সরকারকে (আইবিএনের মাধ্যমে) পরিশোধ করা হয়েছে ২০ কোটি টাকা। সাধারণ ক্যারিয়ারে যে তিন হাজার টিকিট কাটা আছে সেগুলোর জন্যও আর্থিক ক্ষতি হবে।
আর সেখানে যে হোটেল ভাড়া করা আছে, এজন্য মূল্য আগেই পরিশোধ করতে হয়। সব মিলিয়ে ৫০ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। ওমরাহ যাত্রীরা শেষ পর্যন্ত যেতে না পারলে এই টাকা আর ফেরত পাওয়া যাবে না। এতে ওমরাহ যাত্রীদের ক্ষতি তো হবেই, আমাদেরকেও বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
জানা গেছে, ভিসা ও টিকিটসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা সত্ত্বেও ওমরাহ যাত্রীরা সৌদি আরব যেতে পারবে কিনা এ বিষয়ে এজেন্সি মালিক, হাব নেতারা সরকারের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সৌদি দুতাবাসের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন। শেষ পর্যন্ত যেতে না পারলে তাদের বিশাল আর্থিক ক্ষতিপুরণ নেয়া যায় কিনা সে চেষ্টাও করবেন তারা। #