দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের উপত্তিস্থল চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ইরান, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়ায়। এবার করোনার আতঙ্কে ইরান, ইতালি , দক্ষিণ কোরিয়া, আফগানিস্তান, তুরস্ক ও পাকিস্তান সরকার।
ইতোমধ্যে ইরান থেকে পার্শ্ববর্তী দেশ আফগানিস্তানে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে এমন খবরে তুরস্ক ও পাকিস্তান ইরানের সাথে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে ২৩ ফেব্রুয়ারি (রোববার ) পর্যন্ত চীনের মূল ভূখণ্ডে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৪২ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬ হাজার ৯৩৬ জন। খবর আলজাজিরার।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) চীনের সাথে সরাসরি যোগসূত্র না থাকার পরও এর বিস্তৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবকে কমিউনিস্ট চীনের প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবচেয়ে বড় ‘জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান সিটিতে প্রথম করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
তেহরান করোনাভাইরাসে আটজনের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করার পর ইরানের সাথে সীমান্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান।
ইরান লাগোয়া দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশ সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তা আয়েশা জেহরি বলেন, ইরানে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতির খবরে আমরা তাদের সাথে আমাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছি।
নতুন করে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতির খবরে তুরস্কও ইরানের সাথে সীমান্ত যোগাযোগ ‘সাময়িকভাবে’ বন্ধ ঘোষণা করেছে। তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেতিন কোকা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, স্থানীয় সময় রাত ৮টা থেকে এ পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হবে।
ইরানের সাথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আফগানিস্তান। আকাশ ও স্থল উভয়ক্ষেত্রেই এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। প্রতিবেশী ইরানে আফগান অনেক শরণার্থী থাকায় এদের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতির আশঙ্কা করছে আফগানিস্তান। আফগান জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল টুইটারে এক বিবৃতিতে এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে।
এদিকে, চীন, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কোনো নাগরিকের জর্ডানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জর্ডানের তথ্যসম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আমজাদ আদায়লেহ বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান ও চীন থেকে এ দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি রোধের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি জানিয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং করোনাভাইরাসের এ প্রাদুর্ভাবকে সবচেয়ে বড় জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এ সংক্রান্ত এক বৈঠকে তিনি বলেছেন, দ্রুত সংক্রমণ, আক্রান্তের বিস্তৃত পরিসীমার কারণে এ ভাইরাসের প্রতিকার ও প্রতিরোধ খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। #