দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
ভারতে জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী, খেলোয়াড় এবং সংগীত জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদেরও বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করারর পরিকল্পনা করছেন অনেকে। খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের ।
এবার ভারতে বিজেপি ঘোষণা দিয়েছে বিধান সভায় ভোট রাজনীতিতে নতুন করে ‘তারকাদের টানবে না । একুশের লক্ষ্যে রাজ্যের একাধিক তারকাদের দলে টানার কৌশল রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। গত বছরই গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রির তরফে একদল তারকা যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে।
পাশাপাশি পুরভোটেও সেই তারকা প্রার্থীদের চমক থাকবে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে রাজ্য বিজেপির সেই স্ট্র্যাটেজিতেই বাদ সেঁধেছেন মুকুল রায়।
রাজ্য বিজেপির একাংশের মত যখন তারকাদেরই পুর নির্বাচনের প্রার্থী করা, তখন রাজ্য বিজেপি নেতা মুকুল রায় চাইছেন পুরোদস্তুর হেভিওয়েট নেতাদের প্রার্থী করতে। গ্ল্যামার জগতের তুলনায় বড় নেতাদের নামের উপরেই ভরসা রাখবেন ভোটাররা, মনে করছেন তিনি।
ঠিক বছর নয়েক আগে ২০১১ সালে যেমন স্ট্র্যাটেজি সাজিয়েছিল তৃণমূল। পুর নির্বাচনে বিরোধী দলগুলির কাছে তৃণমূলের তরফে তখন চ্যালেঞ্জ ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মতো নামগুলি।
বিজেপিরও সেইরকমই স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করা উচিত বলে মনে করছেন রাজ্য বিজেপি নেতা মুকুল। কিন্তু দলের একাংশ তাতে নারাজ। এখানেই দ্বিমত রাজ্য বিজেপির অন্দরে।
রাজ্য বিজেপির একাংশ চাইছে, পুর মসনদ দখলের লড়াইয়ে ভোট টানার জন্য ‘জনপ্রিয় মুখ’দের। রুপোলি পর্দার জনপ্রিয় মুখ অঞ্জনা বসু, কাঞ্চনা মৈত্র, রূপাঞ্জনা মিত্র, রূপা ভট্টাচার্যদের গেরুয়া শিবিরের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতেও দেখা যাচ্ছে।
আবার অভিনেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্ররাও মিছিল-মিটিংয়ে যাচ্ছেন। সুমন অবশ্য অনেক আগে থেকেই বিজেপিতে সক্রিয়। দলের সাংস্কৃতিক সেলের আহ্বায়কও। ওদিকে, গত বছর বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন পার্নো মিত্র, ঋষি কৌশিকের মতো খ্যাতনামা অভিনেতারাও।
সূত্রের খবর বলছে, পুরভোটে অন্তত ১৪ থেকে ১৫টি আসনে তারকা প্রার্থীর চমক দেওয়ার জল্পনা চলছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।
কারণ, তাদের কথায়, পুরভোটে বর্ষীয়ান ও অভিজ্ঞদের চেয়ে তারকামুখই বৈতরণী পার করবে। তাছাড়া অভিনেতারা প্রার্থী হলে কাজেও উদ্যম বাড়বে তাদের। আখেড়ে গেরুয়া শিবিরের জন্য যা ইতিবাচকই হবে। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, পুরভোটে তারকাদের দিয়ে কি জয়লাভ করা সম্ভব হবে? #