দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
বাংলাদেশের কিংবদন্তি নায়িকা আফরোজা সুলতানা রত্না ওরফে শাবানা ও তার স্বামী ওয়াহিদ সাদেক এবার যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় শূন্য আসনে উপ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তারা যৌথ সংবাদ সন্মেলনে দাবি করেছেন, আগামী সংসদীয় উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পাবেন ওয়াহিদ সাদিক।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কেশবপুর বড়েঙ্গা গ্রামে নিজ বাস ভবনে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সন্মেলনে ওয়াহিদ সাদিক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা যশোর-৬ শূন্য আসনে শাবানাকে নির্বাচন করতে বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তখন শাবানা বলেন, ওয়াহিদ সাদিক নির্বাচন করতে চান। তখন নেত্রী তাকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেন। তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে শতভাগ নিশ্চিত করেন। ’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের অংশহিসাবে নিজ গ্রাম থেকে গণসংযোগের সূচনা করছেন। পর্যায়ক্রমে কেশবপুরের প্রতিটি ইউনিয়নে তিনি সস্ত্রীক গণসংযোগ করবেন।
কেশবপুরের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ভাই মরহুম এএসএইচকে সাদেকের সময় কেশবপুরের যা কিছু উন্নয়ন হয়েছে। তার পর ইসমত আরা সাদেকের সময় উন্নয়ন থমকে থেকেছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘এলাকা সন্ত্রাসমুক্ত জনপদ হবে। সন্ত্রাসীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধনে কেশবপুরের উন্নয়ন হবে।’
ওয়াহিদ সাদিক আরও বলেন, তিনি আমেরিকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শাখার সদস্য। তিনি আমেরিকার পাসপোর্ট ফেরত দেবেন। তার সন্তানরা বড় হয়ে গেছে। এখন তিনি বাংলাদেশে বসবাস করতে চান। তারা পূর্ব পুরুষের বসতভিটা বড়েঙ্গায় একটি মসজিদ করেছেন। এখন একটি এতিমখানা তৈরি করছেন।
কেশবপুরের উন্নয়নে তিনি কী কী করবেন তার একটি প্রাথমিক ধারণা দেন।
কেশবপুরের সংস্কৃতিক অঙ্গনের সমৃদ্ধির জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেবেন। এলাকার গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর বলে ওয়াহিদ সাদিক জানান।
শাবানা জানান, বাকি জীবনটা তিনি জনগণের সেবায় থাকতে চান। তারা দু’জনে মিলে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় কেশবপুর একটি সমৃদ্ধ জনপদে রূপ দেবেন। কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ শাখার সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা তাকে সমর্থন দেবেন বলে তিনি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে ওয়হিদ সাদিক ও শাবানা উপস্থিত জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।
পরে শাবানা এবং তার স্বামী একটি এতিম খানার উদ্বেধন করেন। সে সময় ওয়াহিদ সাদিক বলেন, তাদের নির্মিত মসজিদ উদ্বোধনের সময় এলাকার সংসদ সদস্য বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা এলাকায় উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি সব পর্যায়কে গুরুত্ব দেবেন।
শাবানা ও তার স্বামী গণসংযোগে আসায় কেশবপুরের রাজনৈতিক মহলে নানা সমীকরণের সৃষ্টি হয়েছে। প্রয়াত সংসদ সদস্য ইসমত আরা সাদেকের মেয়ে নওরীন সাদেক ফেব্রুয়ারির প্রথমে দুই দিন গণসংযোগ করেছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদারের পক্ষে প্রতিদিন বিকালে তার সমর্থকরা মিছিল ও পথসভা করেছেন। #