দূরবীণ নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ বিমানের পাইলট ও ক্রুদের অন্য কোনো দেশে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে তারা চীনের উহান থেকে বাংলাদেশিদের আনতে গিয়েছিল।
আর এই বাধার ফলে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারছেন না বাংলাদেশ বিমানের ওই পাইলট ও ক্রুরা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় এ বিষয় উঠে আসে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী, চিকিৎসক ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে আরও ১৭১ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে চাইছেন। কিন্তু বাংলাদেশ বিমানে তাঁদের আনতে সমস্যা হচ্ছে।
কেননা, এর আগে ৩১৪ জন বাংলাদেশিকে আনতে যে ফ্লাইট গিয়েছিল, সেটির পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত পাইলট ও ক্রুদের অন্য দেশে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
এ কারণে নতুন করে যাঁরা আসতে চাইছেন, তাঁদের চীনের কোনো এয়ারলাইনসের ভাড়া করা বিমানে আনার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে যাঁরাই বাংলাদেশে আসবেন, তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সচিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়, চীনে বিমান যাতায়াত বন্ধ থাকবে কি না। উত্তরে তিনি বলেন, এখন প্রতিদিন চীনে ৪টি ফ্লাইট যাচ্ছে।
প্রতি ফ্লাইটে ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এয়ারলাইনসগুলো নিজেরাই ফ্লাইট বন্ধ করবে। #