নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ক্যাসিনো-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের একান্ত সহকারী সচিবসহ (এপিএস) তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুদকের পরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত) সৈয়দ ইকবাল গোসেনের স্বাক্ষরে এই তদবি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ প্রাপ্তদেরকেদে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য। তিনি আরো জানান, তলবি নোটিশ প্রাপ্তরা হলেন; ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকনের এপিএস আবুল কালাম আজাদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান মো. সাজ্জাদুল ইসলাম এবং টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক খোরশেদ আলম।দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য, বৃহস্পতিবার দুদকের পরিচালক এবং ক্যাসিনো-কাণ্ড ও বড় দুর্নীতির অনুসন্ধানে গঠিত দলের প্রধান সৈয়দ ইকবাল হোসেন তাঁদের তলব করে আলাদা চিঠি পাঠিয়েছেন। মেয়রের এপিএসকে হাজির হওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মেয়র বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অন্য দুজনকে দুদকে হাজির হতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং টাঙ্গাইলের খাদ্য নিয়ন্ত্রককে চিঠি পাঠানো হয়।
তাঁদের মধ্যে আবুল কালাম আজাদ মেয়র সাঈদ খোকনের রাজনৈতিক এপিএস। সাজ্জাদুল ইসলাম একসময় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাজ করেছেন।
তাঁদের পাঠানো আলাদা আলাদা নোটিশে বলা হয়, জি কে শামীমসহ অন্যদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সেখানে অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করে বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য সবার বক্তব্য রেকর্ড করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে গত ২২ জানুয়ারি একই অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের এপিএস শেখ কুদ্দুসকে দুদকে ডেকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে প্রথম দিনই রাজধানীর ইয়াংমেনস ফকিরাপুল ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার হন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক (পরে বহিষ্কার করা হয়) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন অভিযানে একে একে গ্রেপ্তার হন এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম, মোহামেডান ক্লাবের ডাইরেক্টর ইনচার্জ মো. লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, সম্রাটের সহযোগী এনামুল হক আরমান, জাকির হোসেন, কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুল আলম (ফিরোজ), অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান (মিজান) ও তারেকুজ্জামান রাজীব। #