দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ৪ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল টিম। অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘র্যাগিংমুক্ত’ ট্যাগ দিতে ওই ৪ শিক্ষার্থীকে ভিকটিম করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে এর আগে অভিযোগের তদন্ত ছাড়া শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের নজির নেই।
গত ০৬ জানুয়ারী র্যাগিংয়ের অভিযোগ এনে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের ১২ তম ব্যাচের অঙ্কন বাউল, সাব্বির আহম্মদ, আবু সুফিয়ান ও রাব্বী নামের ৪ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেন।
এদিকে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত এক শিক্ষার্থীর সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার অভিযোগে উক্ত চারজন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার করেছে। এ ঘটনায় প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।
বহিষ্কারের দুইদিন পর গত ৮ জানুয়ারি বহিষ্কৃত ওই ৪ শিক্ষার্থী তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার জন্য ভিসির কাছে লিখিত আবেদন জানান। লিখিত আবেদনপত্রে উক্ত অভিযোগ সম্পর্কে বহিষ্কারাদেশের পূর্বে তাদের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি বলেও জানান।
এরপর গত ১৩ জানুয়ারি বিভাগের নবাগত ৫৩জন শিক্ষার্থী ওই ৪ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন। তারা উল্লেখ করেন, নতুন ব্যাচের সাথে ওই শিক্ষার্থীরা ব্যাচসহ একদিন সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এরপর তাদের সাথে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের কোনো যোগাযোগ হয়নি এবং তাদের ভালোভাবে চিনেনও না। তাদের সাথে এরুপ অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ক্রীস্টিন রিচার্ডসন গণমাধ্যমকে বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। বহিষ্কারের আগেরদিন আমাকে বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর নাম বলতে বলেছিল। আমি ৪ জনের নাম বলেছি। পরদিন দেখি তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রক্টর ও তদন্ত কমিটি ভালো বলতে পারবে।
প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এসছে তার ভিত্তিতে বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। #