দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণরত সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ফ্লোরিডার নৌঘাঁটিতে বন্দুক হামলার পর মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যদিও সৌদি সেনার বিরুদ্ধে হামলাকারীকে সহায়তায় অভিযোগ আনা হয়নি। এরপরও তাদেরকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তবে কয় জনের বিরুদ্ধে উগ্রবাদী আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়েছে। খবর সিএনএন’র।
গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ফ্লোরিডার পেনসাকোলা নৌঘাঁটির একটি ভবনের শ্রেণিকক্ষে বন্দুক হামলা চালায় এক সৌদি প্রশিক্ষণার্থী। এতে তিনজন মার্কিন সেনা নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে পাল্টা গুলিতে ২১ বছর বয়সী বন্দুকধারীও নিহত হয়।
ওই ঘটনার পর সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে তদন্ত শুরু করে মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই। নিজেদের কোয়ার্টারে আটক রাখা হয় সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন সামরিক প্রশিক্ষণার্থীকে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা সৌদি আরবের প্রায় সাড়ে আট শ’ সামরিক প্রশিক্ষণার্থীর ওপর তদন্ত শুরু করে পেন্টাগন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল রবার্ট কারভার বলেন, পেনসাকোলা বিপর্যয়ের পর একটি পর্যালোচনা চালিয়ে সৌদি আরবের বিদেশি সামরিক শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সীমিত করে প্রতিরক্ষা দফতর।
এ ছাড়া বিদেশী শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া জোরালো করা হচ্ছে। তিনি জানান, সেই প্রশিক্ষণ এখনো স্থগিত আছে আর আমরা নতুন পরীক্ষা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছি। #