দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল ফ্যাশন ও পোশাকের চাহিদা বিবেচনা করে নতুন পণ্য উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে হবে। তিনি বলেছেন, পাশাপাশি পণ্য রফতানির জন্য দেশের পোশাক প্রস্তুতকারকদের নতুন বাজার অনুসন্ধান হবে। খবর ইউএনবির।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০১৯ ও বস্ত্রমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম ও মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
তিনি বলেন, ‘রফতানি বাজারে পণ্যের উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনার ব্যাপারে আমাদের সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। (কারণ) পোশাকের ক্ষেত্রে, নকশা এবং রঙসহ সমস্ত কিছু (চাহিদার ভিত্তিতে) সময়ের সাথে সাথে সর্বদা পরিবর্তিত হয়।’
সরকার প্রধান বলেন, যদিও পোশাকের নকশা ও রঙ ক্রেতাদের চাহিদার উপর নির্ভরশীল, তারপরও নতুন বাজার অনুসন্ধান এবং বাজারে পোশাক আইটেমের ফ্যাশন এবং নকশার চাহিদা জানতে বাংলাদেশের নিজস্ব উদ্যোগ নেয়া উচিত।
‘আমার মনে হয় এগুলোর সাথে (পোশাকের নকশা ও রঙ ক্রেতাদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে পণ্য উৎপাদন ও নতুন বাজার সন্ধান) ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আমাদের উৎপাদনকে বৈচিত্র্যময় করা অপরিহার্য,’ যোগ করেন তিনি।
প্রস্তুককারকদের এ বিষয়ে স্বল্পমেয়াদী, মধ্য-মেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা থাকতে হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন ‘আমি আশা করি আপনারা এ জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। আমরা সব ধরণের সহযোগিতা দেব।’
বাংলাদেশ অত্যন্ত স্বল্প মূল্যে গার্মেন্ট আইটেম বিক্রি করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান। যাতে অন্তত কিছুটা হলেও আন্তর্জাতিক ক্রেতারা দাম বাড়ায়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ক্রেতারা যদি প্রতিটি কাপড়ের দাম এক মার্কিন ডলার করে বাড়িয়ে দেয় তবে আমরা এই খাতটি আরো উন্নত করতে পারব।’
সরকার প্রধান হিসেবে বিভিন্ন দেশে সফরকালে বাংলাদেশের পোশাকগুলোতে বেশি অর্থ দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করেছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
গত ৪ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় বস্ত্র দিবস উদযাপন করা হলেও আজ মূল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। #