দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যূবরণ করেন ইন্নানিল্লাহি …. রাজেউন । তিনি জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপরে রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর কফিনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদেরকে সঙ্গে নিয়ে মরহুমের কফিনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
এর পর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনসমূহের পক্ষ থেকে ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
জানাজায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, হুইপ ইকবালুর রহিম, সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিবৃন্দ, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শরিক হন।
নেতৃবৃন্দ অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
পরে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শরিক হন।
মরহুমের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি জানান, অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী ২০ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ পান। ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখ পর্যন্ত তিনি সুনামের সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করেন।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে তাঁকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউশন শাখায় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদায় প্রসিকিউটর হিসেবে সংযুক্ত করে আইন মন্ত্রণালয। ২৩ নভেম্বর ২০১১ তারিখ পর্যন্ত তিনি উক্ত পদে দায়িত্ব পালন করেন । #