দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেল ৮ কিলোমিটার এখন দৃশ্যমান হয়েছে বলেছেন,সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের । তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত এই কাজের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৪০ ভাগ। ট্রোরেল তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের প্রকল্প। খবর বাসস।
বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানী তুরাগের দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেল উত্তরা ডিপোতে দেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইনের ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেম ও রেললাইন স্থাপন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, ২০২১ সালে ডিসেম্বর বিজয়ের মাসে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এমআরটি লাইন-৬ উদ্বোধন করা হবে। ২০৩০ সালে ঢাকা শহরের যানচলাচলের চিত্র বদলে যাবে। এই সময়ের মধ্যে ৬টি মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এসব এমআরটি লাইন চালু হলে ঢাকা শহরে অনিন্দ্য সুন্দর দৃশ্যপট তৈরি হবে।’
সেতু মন্ত্রী বলেন, খুব শিগগিরই এমআরটি লাইন-১ ও ৫ এর কাজ শুরু হবে। সঙ্গে থাকবে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পাতালরেল। ইতোমধ্যে ডিপিপি অনুমোদন হয়েছে। তাই কাজ দ্রুত শুরু করতে কোনো বাধা নেই।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্প এলাকায় যে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে, বাইরে থেকে দেখে তা বোঝার উপায় নেই। অথচ তিন বছর আগেও এখানে বিরানভূমি ছিল। এখন বিশাল কর্মযজ্ঞ। মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৪০ শতাংশ। ৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার মেট্রোরেল এখন দৃশ্যমান হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন,‘সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সব মেগা প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়েই সম্পন্ন হবে। আগের চেয়ে বাস র্যাপিড ট্রানজিটের গতি বেড়েছে। কর্ণফুলী ট্যানেলর কাজ ৫০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মাসেতুর কাজ ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সুতরাং, মেট্রোরেলও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা সম্পন্ন করতে পারবো।’
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড দেশের প্রথম এই মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন. ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন দিনে সরকার বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
মন্ত্রী বলেন, ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার এই মেট্রোরেল মানুষের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এর ফলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সহজেই লোকজন যাতায়াত করতে পারবে।
ওভারহেড ক্যাটারিং সিস্টেম এবং রেললাইন স্থাপন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেতু মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিএ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মেট্রোরেল প্রকল্পের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।