দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, আমরা মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো অবস্থাতেই নিরপেক্ষ নই। পিপিদেরকে দুদকের মামলায় দুদকের স্বার্থ অর্থাৎ রাষ্ট্রের স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখতে সক্রিয় থাকতে হবে। তিনি বলেন, পিপিদেরকে দুর্নীতিপরায়ণদের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর)দুদকের দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটরদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান এসব কথা বলেন। দুদকের ৪১জন পাবলিক প্রসিকিউটর দুইদিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছেন।
দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দদুকের প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, পরিচালক শেখ মোঃ ফানাফিল্যা, দুদকের পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল প্রমুখ।
তিনি বলেন, দুদকের মামলা দায়ের থেকে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত, প্রতিটি ধাপে বিজ্ঞ পিপিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
দুদক কমিশনার পিপিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বহুমাত্রিক। কিন্তু তারপরও জনমানসে কিছু নেতিবাচক কথা শোনা যায়, যা আমারা প্রত্যাশা করি না। আমরা মামলা সৃষ্টি করে তা বিচার নিশ্চিত করণের দায়িত্ব অপনাদের হাতে অর্পণ করি। এসব মামলা সফল চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়া আপনাদের পরিবত্র দায়িত্ব।
তিনি বলেন, দুদকের করা মানিলন্ডারিং মামলায় সাজার হার শতভাগ, যা নিয়ে আমরা অবশ্যই গর্ব করি। এ কৃতিত্বের অংশীদার আপনারও ।
দুদক কমিশনার বলেন, কমিশনের যেসব সমস্য রয়েছে, সেগুলো কটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। ক্রমান্বয়ে সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। তাই আজ অনেকেই বলছেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে দুদক অধিকতর সক্রিয় ও সক্ষম। কমিশনের এই সক্রিয়তা ক্রমাগত বিস্তৃত ও বিকশিত করা হবে।
তিনি দুদকের আইনজীবীদের প্রশিক্ষণের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, অর্জিত বিষয়ভিত্তিক শিক্ষাকে শাণিত করতে হলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। তাই কমিশন কর্মকতাদের যেমন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তেমনি, প্রসিকিউটরদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে।
দুদক কমিশনার বলেন, আমাদের পেশা ও শ্রেণিভেদে মানুষের মধ্যে উদারতার কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও অন্যের সৎ কাজের প্রতি সমর্থন, সহযোগিতা বাড়াতে হবে। আমাদের দেশের স্বার্থে সর্বস্তরের মানুষের বিশেষ করে অংশীজনদের সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমেই দুর্নীতির মতো অনৈতিকতার করাল গ্রাস থেকে সবাইকে রক্ষা করতে হবে।#