দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এবার সড়ক নির্মাণ, সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি ও ভবন নির্মাণসহ পরিবেশ ও বায়ু দূষণকারীদের জন্য হুশিয়ারী দিয়েছেন । তিনি বলেন,
আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে ডিএনসিসির একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিভিন্ন সড়কে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ১২ টায় সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে “ধুলাবালিমুক্ত পরিচ্ছন্ন মহানগরী নিশ্চিতকল্পে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় সভায় ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্য গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান, ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের সিইও শাহ মো: ইমদাদুল হক , পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ, কে, এম, রফিক আহাম্মদ সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, অনেক সময়ে কাজ সরকারি হতে পারে, কিন্তু কাজটি করানো হয় ঠিকাদারের মাধ্যমে। ঠিকাদারের দোষ সরকার কাধে নিবে না। প্রত্যেক ঠিকাদারকে কাজ দেবার সময়ে পরিবেশ দূষণ রোধ ও পরিচ্ছন্নতার জন্য পর্যাপ্ত বিল নির্ধারন করে দেয়া হয়। রাস্তার ধুলা ও ফুটপাত পরিষ্কারের জন্য তাদের বিল ধরা আছে।
তারা সেই টাকা উত্তোলনও করেন, কিন্তু তারা সেই কাজ করেন না। সময় এসেছে তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে, এভাবে চলতে পারে না। আমারা আর সহ্য করবো না, এমনকি আমাদের ডিএনসিসির ঠিকাদারদের কেউ যদি পরিবেশ দূষণ রোধে ব্যবস্থা না নিয়ে নির্মাণ কাজ পরিচালনা করেন, তাকেও জরিমানার আওতায় আনা হবে।
তিনি আরো বলেন, আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে আমি নিজেও গাড়িতে অফিস করবো, সারাদিন আমি রাস্তায় থাকবো, রাস্তার কোথায় কী সমস্যা, কারা কারা কিভাবে দূষণ করছে খোঁজ নিবো এবং আমার সাথে ম্যজিস্ট্রেটরা থাকবে, যেখানেই অনিয়ম, অপরিচ্চন্ন, রাস্তায় ধুলা-বালি পাওয়া যাবে সেখানেই আমরা জরিমানা করবো।
কর্মদক্ষতা বাড়ানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আপনারা জানেন আমরা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন যান্ত্রিক পদ্ধতিতে রোড সুইপারের সাহায্যে রাস্তা ঝাড়ু দেয়া, ও জেট এন্ড সাকারের সাহায্যে ড্রেন পরিষ্কার করে যাচ্ছি।
আমরা আগামী জুনের মধ্যে আরো ৬ টি সুইপার গাড়ি সংগ্রহ করতে যাচ্ছি। আমরা প্রাইমারী, সেকেন্ডারী ও টারশিয়ারি ৩ ধরনের রাস্তার জন্য ৩ ধরনের গাড়ি কিনবো, যাতে ছোট ও অপ্রশস্ত রাস্তাও পরিষ্কার করা যায়। একই সাথে বাতাসের ধুলা কমিয়ে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার জন্য আমরা মিস্ট স্প্রে করার সুবিধা সংবলিত গাড়ি সংগ্রহ করছি।
আলোচনায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী রাস্তার ধুলা ও ময়লা পরিষ্কারের জন্য আধুনিক, সময় সাশ্রয়ী ও কার্যক্ষম যান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেছেন, ‘নগরীতে ধুলাবালির বর্তমান অবস্থায় আমরা উদ্বিগ্ন। বিশ্বের সব দেশেই কনস্ট্রাকশন কাজ হয়, কিন্তু বাংলাদেশের মতো এমন অবস্থা থাকে না। সবাইকে সচেতন হতে হবে।
ধুলাবালি পরিষ্কার করার জন্য আধুনিক গাড়ি কিনতে সিটি করপোরেশনকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন প্রয়োজনে এসব আধুনিক গাড়ি সংগ্রহ করতে মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে। এ সময় পরিবেশ দূষণ রোধে বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ ও করণীয় নির্ধারণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি করার নির্দেশ দেন এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। #