দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ট্রাফিক অফিসার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক।
গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।
তিনি জানান. মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুদক অভিযোগ কেন্দ্র হটলাইন- ১০৬ এ এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ হতে আজ এ অভিযান পরিচালিত হয়। সরেজমিন অভিযানকালে টিম জানতে পারে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্টাফ অফিসার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, যার জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৫৫৩ জন প্রার্থী নিয়মানুযায়ী আবেদন করেন।
পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষার জন্য ১০১ জনকে বাছাই করা হয়, অবশিষ্ট ৪৫২ জন পরীক্ষা দিতে পারেননি। দুদক টিম এর কারণ জানতে চাইলে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জানানো হয় যে, একটি কমিটির মাধ্যমে আবেদনকারীদের প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়, যাতে সিজিপিএর ভিত্তিতে প্রথম ১০১ জন প্রার্থী বাছাই করা হয়। এরূপ বাছাইয়ের জন্য কোন লিখিত সিদ্ধান্ত বা সরকারি নির্দেশনা রয়েছে কি না তা চাইলে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ দুদক টিমের নিকট তা প্রদর্শনে ব্যর্থ হন।
সার্বিক বিবেচনায় এক্ষেত্রে সাধারণ আবেদনকারীদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ হতে বি ত করা হয়েছে মর্মে টিমের নিকট প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত চেয়ে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযানকারী টিম। একই টিম কাস্টমস হাউজ, চট্টগ্রাম এ শিপিং এজেন্টদের নিকট হতে অবৈধভাবে ঘুষ গ্রহণ ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে।
পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে নতুন সংযোগ প্রদান, মিটার স্থাপন, লোড বৃদ্ধি, বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার পরিবর্তন সহ প্রতিটি সেবার জন্য বাড়তি অর্থ প্রদানে বাধ্য করার অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে বরিশাল জেলা কার্যালয়ের একটি টিম।
উক্ত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে নতুন সংযোগের জন্য আবেদন ফি ১০০ টাকা, সদস্য ফি ৫০ টাকা ও মিটার জামানত হিসেবে ৬০০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিটি সংযোগে ঘুষ হিসাবে অতিরিক্ত দাবি করার প্রাথমিক প্রমাণ পায় দুদক টিম। অভিযানকালে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে অর্থ দাবীর সময় দুই দালালকে আটক করে দুদক টিম। তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এছাড়াও শ্রীমঙ্গলে রেললাইনে ঝুঁকিপূর্ণ স্লিপার ব্যবহারের অভিযোগে এবং একটি রাজধানীর একটি সরকারি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যথাক্রমে হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয় এবং প্রধান কার্যালয় হতে দুটি পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়েছে। #