দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক :
দুর্নীতি দমন কমিশনের ( দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দেশের ক্রয় দুর্নীতিই সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। প্রায়শই পত্র-পত্রিকায় ক্রয় দুর্নীতির খবর পাওয়া যায়। যা দেশের মানুষের মর্যাদাকে ভুলুণ্ঠিত করছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে “ট্রেনিং অন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট এন্ড প্রাকটিসেস ফর এসিসি অফিসিয়াল” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানে প্রশক্ষণার্থীদের সনদ প্রদান করেন দুদক চেয়ারম্যান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট-এর মহাপরিচালক মোঃ আলী নূর, দুদকের প্রশিক্ষণ অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, দুদক পরিচালক শেখ মোঃ ফানাফিল্যা , মোঃ মঞ্জুর মোরেশেদ,সহকারী পরচিালক জাহিদ কালাম, উপসহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া প্রমুখ।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের আজকের ফলাফল দেখে আমার মনে হচ্ছে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ের উপর নিবিড় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেন। অভিযোগের তদন্তে এ প্রশিক্ষণের সঠিক প্রয়োগ ঘটাতে হবে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, তাই এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে লব্ধ জ্ঞান অবশ্যই ক্রয় দুর্নীতির অনুসন্ধান বা তদন্তে প্রয়োগ করতে হবে। আর যদি এটার প্রয়োগ না ঘটে তাহলে জনগণের অর্থে পরচিালিত এসব প্রশিক্ষণ ভিত্তিহীন হয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি-আজও বলেছি ক্রয় সংক্রান্ত অনুসন্ধান বা তদন্তে আপনাদের না বুঝার কারণে যেন একটি লোকও হয়রানির শিকার না হন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে কেবল সরকারি অর্থ আত্মসাতের লক্ষ্যেই অনেক ক্রয় প্রস্তাবে উচ্চ দর প্রাক্কলণ করেন বলে শোনা যায়। এগুলো বন্ধ করতেই হবে। জনগণের অর্থ কোনো ব্যক্তির নয়। কঠোর নজরদারি, নিখুঁত তদন্ত সর্বোপরি প্রসিকিউশনের মাধ্যমে এসব দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
ইকবাল মাহমুদ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আপনাদের অঙ্গীকার হবে নিজেরা দুর্নীতি করবো না, কাউকে দুর্নীতি করতে দেব না। আর এজন্যই প্রয়োজন মানসম্মত তদন্ত, মানসম্মত অভিযোগপত্র, সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন। সার্বিকভাবে দুদকের মামলায় শতভাগ সাজা নিশ্চিত করা উদ্দেশ্যেই সকলকে কাজ করতে হবে।
#