দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক :
নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলাধীন ঘাঘা অঞ্চলে মধুমতি নদীর তীরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদকের কর্মকর্তারা।
রোববার (২৪ নভেম্বর) যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালযয়ের উপপরিচালক মোঃ নাজমুচ্ছায়াদাতের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। দুদক টিমের সদস্যরা সরেজমিন অভিযানে দুদক টিম তথ্য পায়, গত ১৪ জানুয়ারিতে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে মধুমতি নদীর তীরে ৪১০ মিটার বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়, যা কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০১৯ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য। দুদক টিম আরো জানতে পারে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার ৫ মাস অতিবাহিত মাত্র ২৭% কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং এ বাবদ প্রায় ৩ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গত বর্ষা মৌসুমে উক্ত এলাকায় নদী ভাঙ্গনে প্রায় ১৫০-২০০টি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে।
এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড, নড়াইল কর্তৃপক্ষের ব্যাপক গাফিলতি রয়েছে মর্মে দুদক টিমের নিকট প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযানকারী টিম।
এদিকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে কুষ্টিয়ার একটি এনফোর্সমেন্ট টিম। সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ জাকারিয়ার নেতৃত্বাধীন এনফোর্সমেন্ট টিম আজ এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে দুদক টিম কয়েদী এবং তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলেন। তাঁরা নানাবিধ অনিয়ম ও সমস্যার দুদক টিমের নিকট তুলে ধরেন। প্রাপ্ত তথ্যাবলি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কারা কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করে দুদক টিম।
এছাড়া রাজধানীর উত্তরায় উৎকোচের বিনিময়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদানের অভিযোগে ও পঞ্চগড়ে শিক্ষার্থী না থাকা সত্ত্বেও অবৈধভাবে বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত করার অভিযোগে যথাক্রমে প্রধান কার্যালয় এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয়, দিনাজপুর হতে দুটি পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়েছে। #