দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক :
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক ) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি সেক্টরেই কাজ
তারা কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি দমনে সমন্বিত অঙ্গীকারের প্রয়োজন। কারণ প্রতিটি সেক্টরেই দুর্নীতির ব্যপকতা রয়েছে,এ কথা আমি অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
রোববার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভালপমেন্টের (ডিএফআইডি) গভার্নেন্স টীমলিডার এইজলিন বাকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সাখে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকে গভার্নেন্স ইস্যুতে ডিএফআইডি’র প্রতিনিধিরা কথা বলেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএফআইডি’র গভার্নেন্স এডভাইজর তানভীর মাহমুদ, মোহাম্মদ ইউসুফ, দুদকের প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরচিালক একেএম সোহেল প্রমুখ।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা হয়তো আজই সকলকে ধরতে পারবো না , তবে প্রতিকারমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সকলের মাঝে একটি বার্তা দিতে সক্ষম হয়েছি যে, আজ হোক কাল হোক সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কর্মপ্রক্রিয়ায় ব্যক্তি পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু কর্মপ্রক্রিয়ার পরিবর্তন সুশাসনের জন্য সত্যিই অন্তরায়। তিনি বলেন শুধু প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নয়, কমিশন প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমও পরিচালনা করছে যাতে দুর্নীতির ঘটনা ঘটার আগেই তা প্রতিরোধ করা যায়।
প্রতিনিধি দলটির এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ-পদোন্নতি-পদায়নে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা না করা গেলে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। শিক্ষকদের অনেক সময় সরকারি অন্যান্য কাজে সম্পৃক্ত করে তাদের মূল্যবান কর্মঘণ্টা নষ্ট করা হচ্ছে। শিক্ষকদের অন্য কাজে ব্যবহার বন্ধ করা উচিত।
শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য তাদের ডিজিটাল উপস্থিতির ব্যবস্থা করার কথা সরকারকে বলেছি। মানসম্মত শিক্ষা না হলে সক্ষম মানবসম্পদ সৃষ্টি করা যাবে না। নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সন্তানেরা যেন শুধু জিপিএ-৫ এর দিকে না ছুটে, নৈতিক মূল্যবোধের দিকেও ছুটে। মূল্যবোধহীন উন্নয়ন কোনো কাজে লাগে না।
তাই আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে যাতে তরুণ প্রজন্মের মাঝে নৈতিকমূল্যবোধ গ্রোথিত করা যায়। সরকারি পরিষেবা দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত করা না গেলে জনগণের হতাশা দূর করা কঠিন। হয়রানিমুক্ত সরকারি পরিষেবা প্রদানে বিদ্যমান বিজনেস প্রসেস রি-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি বলেন, তাই কমিশন শিক্ষাসহ ২৮ টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রদানের প্রক্রিয়াগত সংস্কারের জন্য সুপারিশ সরকারের নিকট পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছ। ইতোমধ্যে এজাতীয় ১৩টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করা হয়েছে।
ডিএফআইডি সদস্যর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়োগসহ অন্যান্য দুর্নীতি সম্পর্কে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৮ সালে পুলিশ বিভাগের যে নিয়োগ হয়েছে তা যথেষ্ট স্বচ্ছ হয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, পুলিশের সাথে কমিশনের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। পুলিশের যেসব সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। এসব তদন্তে পুলিশের তরফ থেকে সহযোগিতার কোনো ঘটতি নেই।
শুধু পুলিশ নয়-প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী যার বিরুদ্ধেই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে , সেগুলো খতিয়ে দেখা হয়। বলতে গেলে সব সেক্টরেই কাউকে না কাউকে আইনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। #