দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক :
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে মেশিন ব্যবহারে অনিয়ম, অবহেলা ও মেরামতের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান সমন্বিত জেলা কার্যালয়, হবিগঞ্জ থেকে অভিযান চালিয়েছে দুদক।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, সরেজমিন অভিযানে দুদক টিম জানতে পারে, উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি দুই দশক ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পরে আছে। ১৯৯৫ সালে মেশিনটি ক্রয়ের পর থেকে অদ্যাবধি কোন টেকনিশিয়ান অপারেটর নিযুক্ত করা হয়নি, ফলে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
দুদক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, দুদক টিম সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখতে পারেন যে, এক্স-রে মেশিনটি অকেজো হয়ে পড়ে থাকলেও মেশিনটি মেরামতের জন্য সরকারি ব্যয় দেখানো হয়েছে। এ অনিয়ম ও অবহেলার বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযান পরিচালনাকারী টিম।
রংপুরের কারমাইকেল কলেজে নির্মাণ এবং পরিবহন খাতে বিল ভুয়া ভাউচার দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক।
তিনি জানান, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রংপুর এর সহকারী পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে আজ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে তথ্যানুসন্ধানে কলেজের সম্মুখে ম্যুরাল নির্মাণে এবং কলেজের একটি হোস্টেলের মন্দির নির্মানে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক টিম।
এছাড়াও কলেজের পরিবহন খাতের খরচ বাবদ ভাউচারে উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে নথিপত্র সংগ্রহ করে টিম। সকল তথ্য বিশ্লেষণপূর্বক বিস্তারিত অনুসন্ধানের অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযানকারী টিম।
এছাড়াও চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পণ্য খালাস বাবদ ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা ভূমি অফিসে দোকান কোটা বন্দোবস্ত প্রদানের নামে মোটা অঙ্কের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে, রংপুরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়এর ভবন নির্মাণে নিুমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগে এবং অবৈধভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার অভিযোগে যথাক্রমে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম -১, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, হবিগঞ্জ, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রংপুর, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, বরিশাল ও প্রধান কার্যালয় হতে ৫টি পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
এদিকে গত ১১ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালী হতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রুহিতা গ্রামে পল্লী বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের জন্য গ্রাহকদের নিকট হতে সরকারি খরচের নামে গ্রাহক প্রতি ৬০০০ টাকা আদায় করা হয়েছে মর্মে দুদক হটলাইনে (১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুদকের অভিযানের পর পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জরুরিভিত্তিতে আজ গ্রাহকদের টাকা দিয়েছেন মর্মে জানা যায়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় দুদকের কর্মতৎপরতাকে স্বাগত জানানো হয়। #