সর্বশেষঃ
মহাখালীতে কিডনী রোগীদের স্বল্প খরচে চিকিৎসায়  ডিএনসিসির হাসপাতাল  শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফাতেমা দোজাকে বরখাস্ত শুল্ক না থাকলে যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে: ট্রাম্প প্রধান উপদেষ্টা আরও ৭ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন কারাগার থেকেই ভার্চুয়ালি হাজিরা দিলেন ২৪ আসামি লোহিত সাগরে জাহাজ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ হুথিদের গুজব-গুঞ্জন নিয়ে বলার কিছু নেই : আইন উপদেষ্টা আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০০ রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সাক্ষাৎ
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১২ অপরাহ্ন

দুর্নীতির অভিযোগে বিচারপতি আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ

দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক

বহুল আলোচিত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান পদত্যাগ করেছেন। রোববার (৩১ আগস্ট) তিনি তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। এর আগে, নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে ছুটিতে পাঠানো হয় তাকে।

সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল নানা অভিযোগে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানকে তলব করে। বিচারপতি আখতারুজ্জামানের বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি ২৬ আগস্ট। তলবি নোটিশে তাকে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখা দিতে বলা হয়। তিনি নোটিশ পেয়ে ব্যাখ্যা দেন এবং প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের কাছে রোববার পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরইমধ্যে প্রধান বিচারপতি তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতির কাছে।

চলতি বছরের ২৩ মার্চ বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। গত বছরের ১৬ অক্টোবর দুর্নীতি ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ ওঠায় ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে তাদের বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এরআগে ছুটিতে পাঠানো ১২ বিচারপতি হলেন- বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, বিচারপতি খিজির হায়াত ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।

অভিযোগ ওঠার পর ওই ১২ বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে ডাকা হয়।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর তৎকালীন বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। একইসঙ্গে তার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর একই বিচারক জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য তিন আসামি হলেন খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (বর্তমানে মৃত), হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না, অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়রের একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। দুটি মামলায় পরে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আর ৬ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়।

#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

[prayer_time pt="on" sc="on"]

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12