ডেস্ক রিপোর্ট
আরবদেশগুলোর অবস্থান এবার স্পষ্ট করা হয়েছে। ইরানের ওপর হামলা চালাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভুমি ব্যবহারের সুযোগ দেবে না
আরবদেশগুলো। পারস্য উপসাগরীয় মুসলিম দেশগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছে।
তারা ওয়াশিংটনকে ইরানে সম্ভাব্য হামলা চালানোর কাজে আরবদেশগুলোর ভূমি ব্যবহারের অনুমতি দেবে না। ফলে বিষয়টি পরিস্কার হয়েছে যে, আরবদেশগুলো ইরানের পক্ষে রায়েছে। খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের
দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলি হামলার প্রতিশোধ নিতে তেহরান যখন ইসরাইলে ব্যাপকভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে তখন আরব দেশগুলো এ হুঁশিয়ারি দিলো।
লন্ডন-ভিত্তিক নিউজ ওয়েবসাইট মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও কুয়েত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এসব দেশে অবস্থিত ঘাঁটিগুলো ব্যবহার করে ইরানের বিরুদ্ধে হামলা না চালানোর আহ্বান জানিয়েছে।
একজন সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে বলেছেন, “ইসরাইলে ইরানি হামলার পর আমেরিকা যাতে মধ্যপ্রাচ্যের ঘাঁটিগুলো ব্যবহার করে ইরানে পাল্টা হামলা চালাতে না পারে সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের পারস্য উপসাগরীয় মিত্ররা ব্যাপকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”
পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো আমেরিকাকে একথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করিয়ে দিচ্ছে যে, যে চুক্তির ভিত্তিতে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে তাতে অন্য দেশে হামলা চালানোর কথা বলা হয়নি। এমনকি মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো যাতে এসব দেশের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলা চালাতে না পারে সে চেষ্টাও করছে পারস্য উপসাগরীয় আরব দেশগুলো।
এদিকে ইসরাইলের হিব্রু ভাষার পত্রিকা ইসরাইল আল-ইয়াওমের বরাত দিয়ে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা সামা জানিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু হওয়ার পর ইসরাইলি ওয়ার কেবিনেটের বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ওই বৈঠকে ইরানের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অন্যদিকে একই সময়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে নিজের জাতীয় প্রতিরক্ষা টিমকে নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দুই রাজধানীতে দুই বৈঠকের পর বাইডেন টেলিফোনে নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন।
ফোনালাপে কী কথা হয়েছে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। তবে একটি মার্কিন সূত্র বলেছে, বাইডেন নেতানিয়াহুকে বলেছেন, ইসরাইল যেন ইরানে পাল্টা হামলা না চালায়। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনকে মধ্যপ্রাচ্যে একটি বৃহত্তর যুদ্ধে জড়াতে চান। তিনি এ ধরনের প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকতে নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানান।