অনেক বছর পর আলোচনায় চীনের ঝাও ও উত্তর কোরিয়ার কিম । চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ে দেশটির নেতা কিম জং উনের সাথে শনিবার (১৩ এপ্রিল) বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকে এক শীর্ষস্থানীয় চীনা কর্মকর্তা উত্তর কোরিয়ার সাথে সম্পর্কের বন্ধন পুনঃনিশ্চিত করেছেন। অনেক বছর পর মিত্রদের মধ্যে এই সর্বোচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
।
ঝাও লেজির সফর এমন সময় হলো যখন উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে ভয় দেখানোর জন্য ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে। ঝাও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির তৃতীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তা এবং আনুষ্ঠানিক পার্লামেন্টের প্রধান।
সিনহুয়া নিউজ অ্যাজেন্সি জানিয়েছে, ঝাও কিমকে তার তিন দিনের সফর শেষে একটি বৈঠকে বলেন যে চীন, উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক সহায়তা এবং কূটনৈতিক সমর্থনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস এবং তারা সম্পর্ক আরো বিকাশের জন্য উন্মুখ। তিনি ওই উপদ্বীপ বা অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কিছু উল্লেখ করেননি।
ঝাওকে উদ্ধৃত করে সিনহুয়া বলেছে, ৭৫ বছর আগে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে চীন ও উত্তর কোরিয়া ভালো প্রতিবেশী এবং একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ এবং উন্নয়নের স্তর অর্জনের জন্য একসাথে লড়াই করেছে।
চীন বিগত ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সালের কোরিয়ান যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যদের বিরুদ্ধে ওই একাকী কমিউনিস্ট রাষ্ট্রের পক্ষে লড়াই করেছিল এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর কোরিয়ার দুর্বল অর্থনীতিকে সাহায্য করেছে। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচিতে জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করার অভিযোগ রয়েছে। এই পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচিতে বেইজিংয়ের অনুমোদন ছিল।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সেন্ট্রাল নিউজ অ্যাজেন্সি জানিয়েছে, ঝাও বৃহস্পতিবার তার উত্তর কোরিয়ার সহপক্ষ, চো রিয়ং হে-এর সাথে দেখা করেন এবং কিভাবে সমস্ত ক্ষেত্রে বিনিময় ও সহযোগিতার প্রচার করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন।
উত্তর কোরিয়া কোভিড ১৯ মহামারীর সময় এই রোগের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব এবং খাদ্য ঘাটতির মধ্যেই দেশের সীমানা বন্ধ করে দিয়েছিল। ঝাওয়ের উত্তর কোরিয়া সফর, মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে চীনা পলিটব্যুরোর স্থায়ী কমিটির সদস্যের সাথে সম্পৃক্ত প্রথম দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক। মহামারীর আগে কিম এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিন ২০১৯ সালে দু’টি শীর্ষ বৈঠক করেছিলেন।
উত্তর কোরিয়া ও চীন চলতি বছর কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার বার্ষিকী উপলক্ষে বেশ কয়েকটি পারস্পরিক বিনিময় কর্মুসূচি আয়োজন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়া তার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ এবং পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে স্থবিরতার মুখে বেইজিং ও রাশিয়ার সাথে তার সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছে।