দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার শুনানি আগামী ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। সোমবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে মামলাগুলো শুনানির দিন ধার্য থাকলেও শুনানি হয়নি। যারফলে আগামী ১৪ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
সোমবার মহানগর দায়রা জজ আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে অধিকাংশ মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত আছে জানিয়ে সময় আবেদন করেন তার আইনজীবী। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী বছর ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল। মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় করা নাশকতার আটটি, যাত্রাবাড়ী থানার দুইটি ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা। যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলা চার্জশিট গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য রয়েছে। অপর ১০ মামলা ছিল চার্জ শুনানির জন্য।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়।
এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গেøারি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রæয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূর আলম (৬০) নামে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কে এম নুরুজ্জামান। ওই বছরের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বশির আহমেদ। অন্যদিকে ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অভিযুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালের বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলোয় চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। সবগুলো মামলায় খালেদা জিয়াকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়া মামলাগুলোয় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। # কাশেম