দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
প্রকাশ্য দিবালোকে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ক্যাশ থেকে ১০ লাখ টাকা ছিনতাইকালে উজ্জ্বল (২৮) নামে এক যুবককে হাতে নাতে আটক করে গণধোলাই শেষে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ক্যাশ ইনচার্জের কক্ষ থেকে নগদ ১০ লাখ টাকার বান্ডিল নিয়ে পালানোর সময় ব্যাংকের স্টাফসহ স্থানীয়রা ওই যুবককে ধরেফেলে। পরে তাকে গণধোলাই শেষে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় ব্যাংকের ম্যানেজার (অপারেশন্স) মোমিনুল হক বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত উজ্জ্বল চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের বড় দুধ পাতিলা গ্রামের মৃত নুরু মিয়ার ছেলে।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথা গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির আলমডাঙ্গা শাখায় প্রবেশ করেন উজ্জল।
সুযোগ বুঝে অতর্কিতভাবে ব্যাংকের শাখার ক্যাশ ইনচার্জের কক্ষে প্রবেশ করে টেবিলের ওপরে থাকা এক হাজার টাকার নোট সম্বলিত ১০টি বান্ডেলে মোট ১০ লাখ টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ক্যাশে কর্মরত সহকারী অফিসার কায়সার আলম উজ্জ্বলকে টাকা নিয়ে যেতে বাধা দিলে তাকে ভীতি প্রদর্শন ও বল প্রয়োগ করে ধাক্কা দিয়ে টাকা ছিনতাই করে দৌঁড় দেন উজ্জল।
সহকারী অফিসার কায়সার আলমসহ অন্যান্য অফিসাররা চিৎকার চেঁচামেচি করলে ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত অফিসার ও উপস্থিত গ্রাহকদের সহযোগিতায় তাকে ধাওয়া করে আটক করা হয়। এরপরই ব্যাংকের ম্যানেজার আব্দুল ওয়াদুদ ছিনতাইকারী উজ্জলের হাতে থাকা ১০ লাখ টাকার বান্ডেল হেফাজতে নিয়ে ক্যাশ ইনচার্জ গিয়াস উদ্দিনকে বুঝিয়ে দেন। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে উজ্জল জানান, তিনি গত ২ আগস্টসহ বিভিন্ন সময়ে এই ব্যাংকে প্রবেশ করে চুরি এবং ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে ব্যাংকের সকল কার্যক্রম ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে গেছেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, উজ্জ্বল পালিয়ে যাওয়ার সময় আটকের পর উত্তেজিত জনতার মারপিটে সামান্য আহত হওয়ায় পুলিশ তাকে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হারদি হাসপাতাল) প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। #কাশেম