দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
অর্থ আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলার আসামী ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তলব করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন বলেই তাকে তলব করেছেন । ড. ইউনুস আসবেন কিনা সেটা তার বিষয় ,তবে আসলে ভালো হয়। তার বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর পাঠানো এক তলবি নোটিশে আগামী ৫ অক্টোবর ড. ইউনূসকে দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। এমন খবর চাউর হলে এ বিষয়ে সকাল থেকে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অস্বীকার করেছেন। এরপর বিকেলে দুদক চেয়ারম্যান অফিস থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি কমিশনের কাজ নয়। কমিশন সিদ্ধান্ত নেয় মামলা হবে কি, হবে না। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে, এখন তদন্ত কর্মকর্তা ঠিক করবেন কাকে তিনি ডাকবেন। তিনি যাকে প্রয়োজন মনে করবেন ডাকবেন। এটা তার নিজস্ব বিষয়। আমি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর জেনেছি। তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করেছেন তাকে ডেকেছেন, এলে ভালো, না এলে সেটা তার ব্যাপার।
ড. ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে কি না-এমন এক প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, তাকে হয়রানি কেন করা হবে? শ্রমিকদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে কারখানা পরিদপ্তর থেকে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুদক তদন্ত করেছে ও মামলা হয়েছে। এখানে হয়রানি কেন বলছেন?
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদসহ ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে ২৫.২২ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনার বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। আগামী ৫ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টায় উপযুত্ত বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তদন্তকার্যে সহযোগিতা করতে আপনাকে অনুরোধ করা হলো।#কাশেম