সর্বশেষঃ
র‌্যাক স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ফুটবলে ৪-০ গোলে বিজয়ী বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন ‘শেখ বশিরের’ বিরুদ্ধে হত্যা মামলা: বাদী নিশ্চিত নয়, উপদেষ্টা সেখ বশির আসামি বিমানবন্দরে অতিথির সম্মান পাবেন প্রবাসীরা: ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুলশানে রাস্তা ও ফুটপাতের ২৫০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ফরিদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৫ জন আটক বন্যায় ক্ষতবিক্ষত রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়ক , জনভোগান্তি ১২০ টাকায় পুলিশের টিআরসি নিয়োগ: পুলিশ সুপার ফরিদপুর পদ্মাসেতু থেকে শরীয়তপুর  সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবীতে মানববন্ধন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ১,৩১,৩৭৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ‘সরকারি প্রকল্পে অপচয় রোধে সচেষ্ট থাকতে হবে’
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ অপরাহ্ন

কাস্টমস গুদামের ৫৫ কেজি সোনা চুরির মামলায় ৮জন ৫দিনের রিমান্ডে

দূরবীণ নিউজ প্রতিানধি:
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমস গুদাম থেকে ৫৫ দশমিক ৫১০ গ্রাম সোনা চুরির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও সিপাহিসহ ৮জনের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। রিমান্ডকৃতরা ৮ জনের হলেন- ৪জন সহকারী রাজস্ব মো. শহিদুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম সাহেদ, আকরাম শেখ, মো. মাসুম রানা এবং সোনার গুদাম পাহাদার ৪ সিপাহি- মো: মোজাম্মেল হক, মো. নিয়ামত হাওলাদার, মো. রেজাউল করিম, মো. আফজাল হোসেন।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালত তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষি গ্রেফতারকৃত ৮ আসামীর বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ৫৫ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে এই আসামীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৯৪ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।

ডিবি প্রধান হারুন বলেন, বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে সোনা চুরির ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় দায়ের হওয়া মামলা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তরা বিভাগ তদন্ত করছে। তিনি বলেন, মামলার তদন্তের জন্য ৮ জনকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করলে ৫দিনের মঞ্জুর করা হয়। প্রথামিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৯৪ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিমানবন্দরে শুল্ক বিভাগের গুদামের লকার থেকে সোনা চুরি ঘটনায় ফেঁসে যাচ্ছেন কাস্টমসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। বিমানবন্দরে কর্মরত শুল্ক বিভাগের বেশ কয়জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন কঠোর নজরদারিতে। ওই গুদামের লকারে আনুমানিক ২০০ কেজির বেশি সোনা ছিল। যার মধ্যে থেকে ৫৫ কেজি ৫১০ গ্রাম সোনা চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় গত ৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে ডিএমপির বিমানবন্দর থানায় একটি মামলাটি দায়ের করেন।

ওই মামলায় সুনিদিষ্ট কারো নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে।পরে গত ৪ সেপ্টেম্বর পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা সোনার গুদামের লকারের এ, বি, সি ও ডি শিফটের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুম রানা, সাইদুল ইসলাম শাহেদ, শহিদুল ইসলাম ও আকরাম শেখ এবং পাহারাদার রেজাউল করিম, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন ও নিয়ামত হাওলাদারকে সোনা রক্ষিত আলমারির লক ভাঙার ঘটনায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

কিন্তু পুলিশের জ্ঞিাসাবাদে তারা কেউ সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি বলে জানা যায়। পরে পাহারাদার রেজাউল করিম, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন ও নিয়ামত হাওলাদারকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে পুলিশের তদন্ত টিম নিশ্চিত হয়েছে সোনা রাখার গুদাম সিসিটিভির আওতায় বাইরে রাখা হয়েছে। ফলে সোনা গায়েবকারীদের সিসিটিভির ফুটেজের সাহায্য নিয়ে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) ভবন হওয়া সত্বেও সোনার গুদামের লকার কেনো সিসিটিভির আওতার বাইরে রাখা হয়েছে, এ বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। অথচ বিমানবন্দরের ভেতরের সব জায়গা সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারিসহ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়। পুরো বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ সরকারি বেশ কয়েকটি সংস্থা কাজ করে। এত নিরাপত্তার মধ্যে গুদাম থেকে সোনা চুরি হওয়া ও কাস্টমস হাউজের গুদাম সিসিটিভি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ না থাকার বিষয়টি প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সোনা গায়েবের এ ঘটনা ঢাকা শুল্ক বিভাগের নজরে আসে গত ২ সেপ্টেম্বর। টরদিন বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসের নিজস্ব গুদামে দিনভর ইনভেন্টরি শেষে ৫৫ কেজি ৫১ গ্রাম সোনা গায়েবের সত্যতা নিশ্চিত হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পুরো ঘটনা তদন্তে যুগ্ম-কমিশনার মিনহাজ উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে কাস্টমস হাউজ। মামলায় উল্লেখ করা হয় ২ সেপ্টেম্বর (শনিবার) দিবাগত রাত সোয়া ১২টা থেকে ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সোনার গুদামের আলমারির লকার ভেঙে সোনাগুলো নিয়ে যান।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে,গত ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে ঢাকা শুল্ক বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও গুদামের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মাসুদ রানা যুগ্ম কমিশনারকে বিমানবন্দরের ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ শাখার কাছে শুল্ক বিভাগের গুদামের মূল্যবান পণ্য সামগ্রী রাখার একটি স্টিলের আলমারির লক ভাঙা বলে জানান।

মামলার তথ্য মতে, গুদামের দায়িত্ব কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে শুল্ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গুদাম থেকে কোনো মূল্যবান সোনাসহ আরও কিছু চুরি হয়েছে কি-না, তা নিশ্চিত হতে গুদামের দাযিত্বে থাকা কর্মকর্তাদের মৌখিক নির্দেশনা দেন। পরে দিনভর গুদামের দায়িত্ব কর্মকর্তারা সোনা আটকের রসিদ (ডিএম) মোতাবেক দেখতে পান ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে জব্দ করা ৫৫ কেজি ৫১ গ্রাম সোনা গায়েব হয়েছে।

পুলিশের ডিসি মোর্শেদ গণমাধ্যমকে বলেন, এ পর্যন্ত তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে গায়েব হওয়া সোনা ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময় উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী এসব সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে যাবার কথা, এখানে থাকাটা প্রশ্নের উদ্রেক করে।তিনি আরও বলেন, সোনা রাখার গুদাম ঘর পরিদর্শন করেছি, এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা সিসিটিভির আওতায় ছিল না, অবাক করার মতো বিষয়। তাই কে বা কারা সোনা সরিয়েছে তা স্পষ্ট করা যাচ্ছে না। সচল সিসি ক্যামেরা গুদাম ঘর মনিটরিংয়ের আওতায় থাকলে বের করা সহজ হতো কারা সোনা সরিয়েছে।ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার নুরুল হুদা আজাদ বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। এজন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।#কাশেম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০২ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ
  • ৩:৩৬ অপরাহ্ণ
  • ৫:১৫ অপরাহ্ণ
  • ৬:৩১ অপরাহ্ণ
  • ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12